বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে সরকার এবং পুলিশ বিরোধী বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেয়া হয়।বিক্ষোভ মিছিলটি জাহাজ কোম্পানি মোড় হয়ে পায়রা চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় মিছিলটি সুপার মার্কেট মোড়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, শহিদুল ইসলাম মিজু, কৃষক দল সভাপতি হাজী আবু তাহের, যুবদল সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিজবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক, মতিউর রহমান বাব, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আহবায়ক হযরত বেলাল, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি আতিকুল ইসলাম লেলিন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রংপুরের সর্বশ্রেণীর মানুষের প্রিয় নেতৃত্ব হিসেবে পরিচিত রংপুর জেলা যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কথিত নাশকতার পরিকল্পনার যে নাটক সাজিয়েছে তা রংপুরের কেউ বিশ্বাস করে না। পুলিশ তাদের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই তাদের গ্রেফতার করেছে। আগামী ৩১ মের মধ্যে আটককৃত এসব নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে ১ মে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে লাগাতর হরতালসহ কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
এছাড়া সমাবেশ থেকে দাবী আদায়ে রংপুর বিভাগের ৫২ টি উপজেলায় ২৬ মে বিক্ষোভ মিছিল ও ইউএনওকে স্মারকলিপি, ২৭ মে বিভাগের ৮ জেলায় বিক্ষোভ ও ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে রংপুর বিভাগে সোমবার আধা-বেলার হরতালের আগের রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ জেলা যুবদলের সভাপতি রইচ আহমেদ, সেক্রেটারী আনিছুর রহমান লাকু, সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা সভাপতি জহির আলম নয়ন, সদস্য তারেক হাসান ও আরিফ মিয়াসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। সোমবার হরতাল শেষে তাদের আদালতে নেয়া হলে জামিন না মঞ্জুর হয়।