লালমনিরহাট প্রতিনিধি: অটোরিক্সা ছিনতাই করতে রংপুরের অটোরিক্সা চালক সুলতানকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে গলাকেটে হত্যা করে দুই ছিনতাইকারী।
বুধবার(১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতার ছিনতাইকারীদের স্বীকারোক্তির বরাত দিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।
মৃত অটোরিক্সা চালক সুলতান হোসেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দর্জি পাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল এলাকার তিস্তা নদীর একটি শাখা স্রোতধারা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মমিনুর ইসলাম(২৯) ও রংপুরের তাজহাট আশরতপুর ঈদগা পাড়া এলাকার মৃত বাবুল চৌধুরীর ছেলে সুজন চৌধুরী(৪০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামীরা ছিনতাই করতে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে সুলতানের অটোরিক্সা ভাড়া করেন। অটোরিক্সায় একটি মেয়েকে নিয়ে ফুর্তি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুলতানের অটোরিক্সা ভাড়া করে ছিনতাইকারী চক্র। তাই সুলতানের অটোরিক্সায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল গ্রামে আসেন তারা। মেয়েটি আসতে বিলম্ব হবে অজুহাতে একজন আত্নীয় বাড়িতে অটোরিক্সাটি রাখতে বাধ্য করেন তারা।
পরে অটো চালক সুলতানকে নিয়ে ইশোরকোল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের নির্জনে নিয়ে যৌনউত্তেজক ওষুধের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর অচেতন সুলতানকে একজন পা ধরে অপরজন গলাকেটে হত্যা করে পাশের তিস্তা নদীর একটি জলধারায় ফেলে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী চক্রটি বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে ছিনতাইকারীরা।
পরদিন স্থানীয়দের খবরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মৃত সুলতানের বাবা আব্দুল গফুর মিয়া বাদি হয়ে ওই দিন রাতে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাবের সহায়তায়
জেলা পুলিশ প্রথমে সুজনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে সোমবার মমিনুরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ঘটনার বর্ননা দিয়ে সত্যতা স্বীকার করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।