আর্কাইভ  সোমবার ● ২০ মার্চ ২০২৩ ● ৬ চৈত্র ১৪২৯
আর্কাইভ   সোমবার ● ২০ মার্চ ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: দিনাজপুরে বিআরটিসি বাস ও পণ্যবাহী পিকআপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত       মুশফিকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দলের রেকর্ড স্কোর       যুদ্ধ চাই না, তবে আক্রমণ করলে সমুচিত জবাব: প্রধানমন্ত্রী       “রংপুরে ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই”       রংপুরে মৃত্যুর সাত মাস পরে কবর থেকে তরুণীর লাশ উত্তোলন      
 width=

অসময়ে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২, রাত ০৯:৪৬

ডেস্ক: অসময়ে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমলেও কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে। ফলে অনেক স্থানে চরের ফসল তলিয়ে গেছে। 

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বুধবার ভোরে পানির প্রবাহ ছির ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার ভোরে পানি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটারে। অপরদিকে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৭ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয়েছে ২৭ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার। 

অপরদিকে কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে ২৩ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগের দিন ওই পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৩ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের দুইটি পয়েন্টে পানি বেড়েছে। সকালে নুন খাওয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয়েছে ২২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন ছিল ২১ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার। ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে সকালে পানির প্রবাহ ছিল ১৯ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার। এর আগের দিন বুধবার ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয়েছে  ১৯ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার। এছাড়া ঘাঘট, যমুনেশ্বরীসহ অন্যান্য নদনদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক ছিল। 

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়ার চরে কৃষকের লাগানো মরিচ, পেঁয়াজ, রশুন, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, ধান-গমসহ নানা ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছর শীতকালে পানি কমে যাওয়ার পর তারা তিস্তার বালুচরে নানারকম ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এবার চৈত্র মাসে হঠাৎ তিস্তার পানি বাড়ায় তাদের ফসলের  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে অপরিপক্ব ধান কেটে নিচ্ছেন। 

গঙ্গাচড়া লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, চৈত্র মাসে তিস্তার পানি এমন বৃদ্ধি কখনো দেখিনি। গত কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর চরে  চাষ করা ভুট্টা, বাদাম, বোরো ধান তলিয়ে গেছে। আমার এলাকার কৃষকরা এই ফসল দিয়েই সারা বছর চলতো। এবার তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত  হলেন। 

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ভারতে বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রংপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, তিস্তায় পানি আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় চরের ঝুঁকিপূর্ণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন


Link copied