দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আশুরার বিলে বনের দু’পাশে ঘেরা সবুজ প্রকৃতির মাঝে বয়ে চলা জলরাশিতে ফুটেছে নানা রঙের পদ্ম ও শাপলা। সকালের ঝিলিক রোদে ফোটা পদ্মফুল শোভা ছড়াচ্ছে দর্শনার্থীদের মাঝে। ফলে প্রতিদিন বিলে এসে ভিড় করছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রকৃতিপ্রেমীরা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলছে স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার আশুরার বিলে ফুটেছে হাজারো পদ্ম ও শাপলা। বর্ষায় পানির মাঝে প্রকৃতির স্বকীয়তায় ফুটে থাকা এই পদ্ম যেন মানুষের তৈরি করা ফুল বাগানের চেয়েও উপভোগ্য। বিস্তীর্ণ বিল জুড়ে থৈ থৈ করছে পানির জলধারা। ওপরে নীল আকাশ, নিচে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। বিলের চারপাশে সবুজের সমাহার আর ফুটে থাকা অজস্র পদ্মফুল। এ যেন শিল্পীর নিপুণ হাতে গড়া লাল-সাদা আবরণে মোড়ানো এক অপরূপ সৌন্দর্যের নীল জলরাশি। দূর থেকে দেখে প্রকৃতি প্রেমীদের তাই মনে হবে। স্নিগ্ধতার রঙ আর পূর্ব আকাশের অস্তিম সূর্য মিলে একাকার এখানকার প্রকৃতি। ফুলের রানীও বলা হয় পদ্মফুলকে। বিলের একাংশে ফোটে শাপলা, অপর অংশে ফোটে পদ্ম। তাই আশুরার বিলের শাপলা আর পদ্মফুলের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে আসা শাকিল, মানিক, মাহমুদুল ইসলাম, রেবেকা খাতুন, পিংকি আক্তার জানান, আমাদের বাসা ঘোড়াঘাটে। পরিবারের সবাই মিলে অনেক দিন পর ঘুরতে এসেছি আশুরার বিলে। অনেকের মুখে শুনেছি বিলে সকাল এবং বিকেল পদ্ম ও শাপলা ফোটে। যার জন্য সকাল সকাল এসেছি। এখানে এসে আমাদের মন জুড়িয়ে গেছে। অনেক সুন্দর পরিবেশ। আমাদের খুব ভালো লেগেছে।
নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান আশুরার বিল রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান জানান, আশুরার বিলে বর্ষার সময় বিভিন্ন ধরনের পাখি আসে এবং সেই সঙ্গে শাপলা, পদ্মা ফুল ফোটে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশুরার বিলের উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম জানান, নবাবগঞ্জ আশুরার বিলের উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ শুরু করার জন্য ইতোমধ্যে পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশ ফাঁড়িও তৈরি করা হচ্ছে।