মমিনুল ইসলাম রিপন: সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার নির্বাচনে ইভিএম একটা দুর্বল ও নিকৃষ্ট যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে বলেছেন ইভিএম দিয়ে সকল প্রকার কারসাজি সম্ভব। এটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র হলেও ফলাফল তৈরী হয় ম্যানুয়ালি। যেখানে স্যুট প্যান্ট পরে ভদ্রভাবে কারচুপি করা যায়। ইসি কর্মকর্তা, কিংবা নির্বাচনকালী অফিসাররা তাদের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে অথবা কারিগরি সহাতায় কারসাজি করতে পারবে। তাই ইভিএম ও ইসি’র উপর মানুষের আস্থা নেই।
শুক্রবার বিকেলে রংপুরে আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে কেবল অর্থনৈতিক সংস্কার নয়, সংকটসমাধানে প্রয়োজন রাজনৈতিক সংস্কার শীর্ষক নাগরিক সংলাপ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিথে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিণি।
ড.বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, কোন দলীয় সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, কেননা আমরা দেখেছি অতিতের যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে দলীয় সরকারের আমলে নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলের নির্বাচনগুলো সুুষ্ঠু হয়েছে। তবে নির্বাচন তত্বাবধায় সরকারের মাধ্যমে হবে, না নির্বাচনকালীন সরকারের মাধ্যমে হবে তা নির্ধারণ করবে রাজনৈতিক দলগুলো। আমরা শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করছি। সংবিধান সংস্কার করে ইসির অধিনে থাকা সংস্থাগুলো শক্তিশালী করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
তিনি বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটে প্রায় ১ বিলিয়ন খরচ করা সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি আরো বলেন, ইসি ইভিএমের কোন ত্রুটি খুঁজে না পেলেও ইভিএমে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।
নাগরিক সংলাপে সুজন রংপুর জেলার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন এর সভাপতিত্বে উপস্থিতি ছিলেন সুজন মহানগর সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজর(অবঃ) নাসিমসহ অন্যান্য সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সুজনের এই নাগরিক সংলাপে ২১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন, নির্বাচনী সংস্কার,নির্বাচনকালীন সরকার, কার্যকর জাতীয় সংসদ,সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল সংস্কার, স্বাদীন বিধিব্ধ প্রতিষ্ঠান, দুর্নীতি বিরোধী সর্বত্মক অভিযান, প্রশাসনিক সংস্কার, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, শক্তিশালী নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংরক্ষণ, একটি নতুন সামাজিক চুক্তি, পরিবেশৈর ভারসাম্য রক্ষা, আর্থিকখাতে সুশাসন প্রতিষ।ঠা করা, সাম্প্রদায়িক মানসিকতার অবসান, তরুণদের জন্য বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন ও পার্বথ্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন।