দিনাজপুর: দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া বাধা হলেও স্বজনদের দেখে শান্তি ও খুশি হয়েছে দুইপারের স্বজনরা। ঈদের খুশির দিনে ভারতে থাকা স্বজনদের এক নজর দেখতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে একত্রিত হয়েছিল কয়েক শতাধিক মানুষ। দুই দেশের মানুষের একত্রিত হওয়ায় এক অন্যরকম দৃশ্যে পরিণত হয়। দুই দেশের মানুষ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দূর থেকে স্বজনদের দেখে শান্তি খুঁজে নেন তারা। ইশারাতেও একে অপরকে সাড়া দেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় একত্রিত হতে থাকে দর্শনার্থীরা। একত্রিত হওয়া দর্শনার্থীরা সীমানা ঘেঁষে দূরপাল্লার রেল লাইনে সেলফি তুলেন। কেউ দূর থেকে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলেন।
দু-দেশের হিলি শহরের মাঝ দিয়ে রয়েছে রেললাইন। রেললাইনের এপার বাংলাহিলি আর ওপারে ভারতের হিলি। বাংলাদেশ ও ভারতের নিকটবর্তী শহর হিলি হওয়ায় এই শহর দেখতে ছুটে চলে আসে অনেকেই। ঈদের দিন বিকেল থেকেই হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেট এলাকায় ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।
ফুলবাড়ি থেকে আসা আহসান হাবীব বলেন, আমার বাবার সাত ভাই। এর মধ্যে বাবা বাংলাদেশে থাকেন, বাকি চাচারা ভারতে। কিছুদিন ধরে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি। ফেসবুক মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। আজকে সরাসরি কথা বলতে না পারলেও দূর থেকে এক নজর দেখে নিজেকে খুব খুশি লাগছে।
দিনাজপুর থেকে আসা মরিয়ম বিবি বলেন, পরিবারের সবাই ভারতে থাকেন। চাচাকে দেখতে এসেছি। কাছে গিয়ে কথা বলতে পারলাম না দূর থেকে দেখেও ভালো লাগলো।
উল্লেখ্য, দুই দেশের মানুষ ঈদের দিনে দুপারের সীমান্তে ভিড় করে। তারা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে কাছে গিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না বলে ইশারাতে সাড়া দেন এবং দেখেও অনেকে খুশি হন।