ডেস্ক: উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি এখনো অবনতির দিকে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় বাড়ছে পানি।
গতকাল মঙ্গলবার কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি সামান্য কমেছে, কিন্তু পানি বেড়েছে ব্রহ্মপুত্রে। সন্ধ্যায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপত্সীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপত্সীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের তথ্যানুসারে, ৪৯টি ইউনিয়নে এক লাখ ৪১ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বেসরকারি সূত্র বলছে, এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে জেলার ৩২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
লালমনিরহাটে নদীর পানি বাড়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। গত তিন দিনে এসব এলাকার অন্তত ৫০টি বাড়িঘর নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজ (ডালিয়া) পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
গাইবান্ধার সব কটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে ৯৬টি গ্রাম বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ৪৭ হাজার ৫৬৩ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যানুসারে, বন্যাকবলিত চার উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।