লালমনিরহাট প্রতিনিধি: গায়ে ছেঁড়া জামা, কেউ বাক প্রতিবন্ধী, কেউবা চোখেও দেখেনা। তাদের আয় প্রতিদিনি ১শত টাকা। ওইসব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে বসে ইফতার করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসূল। এ যেন অন্যরকম এক মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার শিক্ষা।
রোববার (৯এপ্রিল) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায় বসে ১১ জন পথচারী, অসহায়, দরিদ্র ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের সঙ্গে ইফতার করে তার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। এ সময় নিজের বোতনে থেকে তিনি ঈদ বোনাস হিসেবে তাদের নগদ অর্থ দেন।
এদিকে চকচকে ফকফকে ওসির রুমে দরিদ্র মানুষের সঙ্গে ইফতার করার নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করছেন। তারা বলছেন, এভাবে গরিব মানুষের পাশে তারা থাকলে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।
অসহায় ব্যাক্তিরা বলেন, আমি এভাবে কোনদিন ইফতার করিনি, ওসি সাহেব আমাদের এভাবে যতœ করে ইফতার করাবেন ভঅবতে পারছি না। আল্লাহ ওনার সব সময় যেন সুস্থ্যতা দান করেন। তারা আরো বলেন, খাওয়া শেষে ওসি সাহেব আমাদের নগদ টাকা দিয়েছেন যেটি দিয়ে নতুন জামাসহ অনেক কিছু কিনতে পাবো।
কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুল বলেন, প্রতিদিনই চোর, ডাকাতসহ বিভিন্ন অপরাধীদের ধরতে মাঠে কাজ করে পুলিশ। কখনো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ইফতার করেন। কখনো সেই গাড়িতেই পানির বোতল দিয়ে রোজা কিছু খান। মন্ত্রী এমপিদের নিরাপত্তার কাজের ক্ষেত্রে ভালো খাবার খাওয়া হয়। কিন্তু সব অসহায় মানুষের সঙ্গে কেউই ইফতার করতে চায় না। মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতার পার্টি না করে সাধারণ পাশে দাড়ানোর আহ্বান করেন। সেই সামর্থ্য আমার নেই, তাই মাত্র কয়েকজন পথচারী অসহায় দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষকে ইফতার করেছি।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ কখনো মানুষকে খুশি রাখতে পারেনা। তাই ১১জন অসহায় মানুষ গুলোর সাথে বসে ইফতার করেছি। এ সময় আমার বেতন থেকে প্রত্যেককে ২০০ টাকা করে ঈদ বোনাস দিয়েছি। মাত্র ২০০ টাকা পেয়ে তারা এতটা খুশি হয়েছে এটি বলে শেষ করা যাবে না। মাত্র ১১ জনের সঙ্গে ইফতার করে মনে হয়েছে আমি হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে ইফতার করেছি।