সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুত্রের ছুরিকাঘাতে পিতার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় সোমবার রাতে পিতা হত্যাকারী ঘাতক আব্দুল জলিলকে রাজারহাট থানা পুলিশ একই গ্রামের নজরুলের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। এসময় খুনী জলিলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি ধান ক্ষেত থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিকল্পিত ভাবে তার পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ঢাকা থেকে সে ছুরিটি এনেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশকে।
পুলিশ ও মৃতের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ সেলিম বাজারে রবিবার প্রথম রমজানে ইফতার শেষে নিজ ঘরে অবস্থান করছিলেন পয়ার উদ্দিন (৭০)। আকস্মিক ওই ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সরাসরি পয়ার উদ্দিনের পেটে ছুরিকাঘাত করেন তারই নিজ পুত্র আব্দুল জালিল (৩৩)। ছুরিকাঘাতে পেট থেকে ভুরি বেড়িয়ে আসে পয়ার উদ্দিনের।
এসময় স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করায় ছেলে জলিলের ছুরির কোপে তার মা জেলেখা বেগমও (৫৫) আহত হন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা দৌড়ে আসলে পালিয়ে ঘাতক আব্দুল জলিল। পরে রাতেই পয়ার উদ্দিনকে রংপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় পয়ার উদ্দিনের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘাতক আব্দুল জলিল দীর্ঘদিন ধরে বাবার কাছ থেকে নিজের নামে জমি লিখে দেয়ার দাবী করে আসছিল। এরই জের ধরে আব্দুল জলিল তার বাবাকে খুন করার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে।
নিহত পয়ার উদ্দিনের স্ত্রী জেলেরা বেগম বলেন, জলিল তিনটি বিয়ে করেছে একটা বৌও তার সংসার করে না। স্বভাবগত কারনে,সে বিভিন্ন সময়ে তার জমির ভাগ চেয়ে আসছে,সে নাকি ভাগের জমি বিক্রি করে বৌকে ফিরে আনবে। তার বাবা জীবিত থাকতে জমির ভাগ দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে জলিল তার বাবার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।