সাইফুর রহমান শামীম ,কুড়িগ্রাম: তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, সদর ও নাগেশ্বরী উপজেলার ২৭ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয় বিকাল চারটা পর্যন্ত চলে এ ভোট গ্রহন। পরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়, কুড়িগ্রাম সদরের কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর একজনের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণার পর ভোটের দুদিন আগে ওই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার প্রার্থী রেদওয়ানুল হক দুলাল। পরে আব্দুল হক তার প্রার্থীতার বৈধতা নিয়ে আদালতে যান। আদালতে বিষয়টি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানা গেছে।
সদরের বাকি ৬ ইউনিয়নের মধ্যে বেলগাছা ইউনিয়নে আ.লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার প্রার্থী লিটন মিয়া। মোগলবাসা ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী এনামুল হক। পাঁচগাছী ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর হাতপাখা মার্কার প্রার্থী আব্দুল বাতেন সরকার। হলোখানা ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী লাঙ্গল মার্কার রেজাউল করিম। ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান এবং ঘোগাদহ ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়।
এছাড়াও যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতিপুর এলাকার ঝুনকার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত উদ্ধার না হওয়ার ওই ইউনিয়নের ফলাফল এখনও ঘোষণা করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী হাসেন আলী, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী হারুণ-অর-রশিদ, ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী শেখ ও বড়ভিটা ইউনিয়নের নৌকা মার্কার প্রার্থী আতাউর রহমান মিন্টু। শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মোটরসাইকল মার্কা আওয়ামীলীগ স্বতন্ত্র শরিফুল ইসলাম সোহেল ও কাশিপুর ইউনিয়নের মোটরসাইকল মার্কা আওয়ামীলীগ স্বতন্ত্র মনিরুজ্জামান মানিক নির্বাচিত হন।
অপরদিকে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। রায়গঞ্জ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের আরিফুজ্জামান দীপ মন্ডল, রামখানা ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির প্রার্থী জালাল উদ্দিন, সন্তোষপুর ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী লিয়াকত আলী লাকু, বেরুবাড়িতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ সোলায়মান আলী, নুনখাওয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ আমিনুল ইসলাম, কেদার ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আ. খ. ম. ওয়াজিদুল কবির রাশেদ, কচাকাটায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ সাহাদত হোসেন মন্ডল, হাসনাবাদ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ নুরুজ্জামান সরকার, বামনডাঙ্গায় মাটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী
মো আসাদুজ্জামান রনি, বল্লভের খাস ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আব্দুর রাজ্জাক, কালিঞ্জ ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজুল হক প্রধান, ভিতরবন্দ ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব শফিউল আলম শফি এবং নারায়নপুর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা নির্বাচিত হয়।
৩য় ধাপের নির্বাচনে ২৭ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করেন ১৩৬ জন প্রার্থী। সাধারণ সদস্য পদে ৬শ ১৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯শ ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
নির্বাচনে ৩ উপজেলায় ২৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৫ লাখ ৬০ হাজার ৭শ ৪১ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৮০ হাজার ৮শ ২জন এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৭৯ হাজার ৮শ ৩৯ জন। ২৭টি ইউনিয়নের মো ২শ ৮৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।