কুড়িগ্রাম: ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাঁচ এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিন ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইভিএমে হওয়া এই নির্বাচনে দুই উপজেলার আট ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হেরেছেন।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সংশ্লিষ্ট ইউপিগুলোর দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফলাফল ঘোষণা করেন।
ভূরুঙ্গামারীর তিন ইউপির মধ্যে শুধুমাত্র শিলখুড়ি ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসাদুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন। অপর দুই ইউপি পাথরডুবি ও ভূরুঙ্গামারী সদর ইউপিতে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে যথাক্রমে জাপা প্রার্থী আব্দুস সবুর ও মাহমুদুর রহমান রোজেন বিজয়ী হয়েছেন।
পাশাপাশি, চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ও থানাহাট ইউপিতে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলেও অপর তিন ইউপিতে নৌকার পরাজয় হয়েছে। রাণীগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম এবং থানাহাটে একই দলের আব্দুর রাজ্জাক নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। রমনা ইউপিতে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম আশেক, চিলমারী ইউপিতে চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম এবং অষ্টমীরচর ইউপিতে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া, চিলমারীর অষ্টমীরচর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের দীঘলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও চিলামারী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শাখাওয়াত হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরাজিত এক সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসারের মাথা ফেটে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।