আর্কাইভ  সোমবার ● ৫ জুন ২০২৩ ● ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
আর্কাইভ   সোমবার ● ৫ জুন ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: রংপুরে আ'লীগ কর্মী হত্যা‌ মামলায় কারাগারে ভাইস চেয়ারম্যান রাজ্জাক        ঠাকুরগাওয়ে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তেখারা নামাজ আদায়       নওগাঁয় ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত       দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে আ. লীগ সরকার: প্রধানমন্ত্রী       লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত      

কুড়িগ্রামে মন্দিরে আগুন ও প্রতিমা ভাঙচুর

মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট ২০২২, রাত ০৯:১৩

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় শিব ও মনসা প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার(৮আগষ্ট) আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় হিন্দু জনগোষ্ঠির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নাওডাঙ্গা গ্রামের রতিকান্ত রায়ের বাড়ির উঠানের মন্দিরে শিব ও মনসা মূর্তি রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এ মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মন্দিরের ৪০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। 

রতিকান্ত চন্দ্র রায় জানান, তার প্রতিবেশি গোলবার রহমান, মাইদুল ইসলাম ও বাদল চন্দ্র রায় রাতে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মন্দিরে আগুন জ্বলে উঠার ঘটনা জানান। তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে মন্দিরের আগুন নেভান। তবে কারা প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সেটা দেখেননি বলেও জানান তিনি। 
রতিকান্ত আরো জানান, আমার বাবা ও দাদা এই মন্দিরে পূজা করতেন। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমিও এই মন্দিরে পুজার্চনা করে আসছি। 

প্রতিবেশি গোলবার রহমান জানান, রাত আড়াইটার মধ্যে মন্দিরে আগুন জ্বলতে দেখতে রতিকান্তকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন তিনি। পরে সবাই মিলে মন্দিরের আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
ফুলবাড়ী উপজেলার পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাত্তিক চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিমা ভাংচুর করে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তারা আতংকিত হয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

নাওডাঙ্গা  ইউনিয়নের হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক রতন রায় বলেন, প্রতিমা ভাংচুর ও মন্দিরের আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা তাদের জন্য হুমকি। দুর্বৃত্তরা হিন্দুদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করতে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সুষ্ঠু বিচার না পেলে প্রয়োজনে আন্দোলন করা হবে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার (৯আগষ্ট) ফুলবাড়ী থানার অফিসার (ওসি) ফজলুর রহমান বলেন,  ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুমন দাস বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied