গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুরের গঙ্গাচড়ায় স্বামীর স্বীকৃতি না পাওয়া গত শুক্রবার বিকেলে গৃহবধূ স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান জেনে পাড়া গ্রামে।
অভিযোগে জানাযায়, ইসলামী শরিয়াহ ও বাংলাদেশ সরকার বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার নিবন্ধন আইনে কোন মহিলার খোলা তালাক হলে ৯০ দিন পরে ২য় বিবাহ করতে পারবে কিন্তু আইন উপেক্ষা করে বড়বিল চওড়া পাড়া গ্রামের রাজ্জাকুল ইসলামের মেয়ে আরফিনা আক্তার এর সাথে পাইকান জেনে পাড়া গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম রানুর গত ৭সেপ্টেম্বর বিয়ে হয়। ঐ গৃহবধূর খলেয়া ইউনিয়নের ধনতোলা গ্রামের হামিদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় ও গত ৩১আগষ্ট মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন বড়বিল ইউনিয়নের কাজী মোহাম্মদ আলী মিলনের মাধ্যমে তালাক সম্পন্ন হয়। আজিজুল ইসলাম রানু জানায় ঐ গৃহবধূর তালাকের ৮ দিনের মধ্যে প্রথম স্বামীকে গোপন করে সুকৌশলে কনে পক্ষের লোকজন চাপের মুখে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে জোর পূর্বক ঐ কাজী মোহাম্মদ আলী মিলনের ভাতিজা আব্দুল আজিজের মাধ্যমে বিবাহ রেজিঃ সম্পন্ন হয়।
তিনি আরও বলেন পরে বিবাহ রেজিষ্টার কাজী মোহাম্মদ আলী মিলনের কাছে বিবাহের কাবিন নামার নকল কপি চাইলে তিনি টালবানা করেও বিবাহ রেজিষ্টারীর কথা অস্বীকার করেন। এব্যাপারে বিবাহ রেজিঃ কাজী মোহাম্মদ আলী মিলনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিবাহ রেজিঃ কথা অস্বীকার করেন। ইমাম গোলাম মোস্তাফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এবিষয়ে আজিজুল ইসলামের পিতা সেরাজুল ইসলাম বিবাহের কাবিন নামার নকল কপি না পেয়ে বড়বিল ইউনিয়নের বিবাহ রেজিষ্টার কাজী মোহাম্মদ আলী মিলনের বিরুদ্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দিন পিএএ বরাবর আবেদন করেন। আরফিনা আক্তার শুক্রবার বিকেলে আজিজুল ইসলাম রানুর বাড়িতে গেলে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ, গঙ্গাচড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবিয়া বেগম, আলমবিদিতর ইউ পি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন,কোলকোন্দ ইউ,পি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ এম,পি প্রতিনিধি মমিনুর ইসলাম গৃহবধূ আরফিনা আক্তারকে নিয়ে আসে। অপর দিকে কাজী মোহাম্মদ আলী মিলনের বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।