আর্কাইভ  শনিবার ● ১ এপ্রিল ২০২৩ ● ১৮ চৈত্র ১৪২৯
আর্কাইভ   শনিবার ● ১ এপ্রিল ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের মানববন্ধন        প্রতিমন্ত্রীর স্বাক্ষর নকল করে  ভুয়া নিয়োগ পত্র দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার -১       সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই পণ্য বিক্রি হচ্ছে- রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী       দিনাজপুরে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত       রংপুরে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার, আটক-৪      

গাইবান্ধায় এক শিশুকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩, বিকাল ০৬:১৭

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিস্কুট খাওয়ানোর আশ্বাসে দুই যুবক শিশুটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ স্বজনদের। অসুস্থ শিশুটি বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুরঘাট গ্রামের হেলাল খন্দকারের ছেলে মনি মিয়া (২২) ও আকাশ মিয়া (১৮) এবং সদর উপজেলার দক্ষিণ গিদারি (ফলিয়ার ঘোপ) গ্রামের তারা খন্দকারের ছেলে মশিউর খন্দকার (২০)। 

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিশুটিকে আগে থেকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল আকাশ ও মশিউর। গত ১৩ মার্চ বিকালে শিশুটি বাড়িতে একাই খেলছিল। এ সময় সুযোগ বুঝে আকাশ ও মশিউর শিশুটিকে বিস্কুট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশে নিয়ে যায়। এরপর শিশুটিকে একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে তারা দুজনে ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরা হয়। একপর্যায়ে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত আকাশের ভাই মনি মিয়া বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ঘটনা কাউকে না জানানো এবং মামলা না করতেও চাপ দিচ্ছে। অভিযুক্তরা এলাকায় প্রভাবশালী এবং মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। শিশুটির বাবা আরও জানান,ধর্ষণের অভিযোগে দুজন ও ঘটনা ধামাচাপাসহ হুমকির ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এতে পরিবার নিয়ে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসহ গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ। 

 

মন্তব্য করুন


Link copied