ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:- পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখালেন ঠাকুরগাঁওয়ের অংকন৷ তার এমন সফলতা সাড়া ফেলেছে পুরো দেশজুড়ে।এমন অর্জনে খুশি তার পরিবার,বন্ধু ও স্বজনেরা৷
সবসময় ব্যতিক্রমী কিছু করার সুপ্ত বাসনা ছিল অংকনের৷ ইচ্ছে ছিল নিজের মাতৃভূমিকে বিশ্বের দরবারে তোলে ধরতে৷ তিন বছর আগে থেকে শুরু করেছিলেন বিশ্ব রেকর্ডের পথচলা।অংকন এর আগে তিনটি রেকর্ডের প্রচেষ্টা করে সফলতার মুখ না দেখলেও এবারে নাম লিখেয়েছেন গিনেস বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডসে৷
ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের শাহাপাড়া এলাকার ইকবাল হোসেন ও জাহেদা বেগম দম্পতির বড় ছেলে জাহিদুল ইসলাম অংকন৷ ফাস্টেস্ট টাইম টু সেটআপ এন্ড টপেল ফাইভ ইরেজার’ অর্থাৎ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুইয়ে রাখা পাঁচটি রাবার (ইরেজার) দাঁড় করিয়ে একটির উপর আরেকটি ফেলে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন অংকন। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
গত ২৩ আগস্ট বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ইমেইলের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়েছে৷
জানা যায়, ২.৪৭ সেকেন্ডে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির ওপরে আরেকটি ফেলে সে নতুন রেকর্ড গড়েন। এর আগে এই রেকর্ড মালয়েশিয়ান এক নাগরিকের দখলে ছিল। যিনি ৩.৬৪ সেকেন্ডে রেকর্ডটি গড়েছিলেন। গত ১৭ মে রেকর্ডের বিষয়ে মেইল করলে ২৩ আগস্ট ফিরতি বার্তায় অংকনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে গিনেস বুক।
অংকনের এমন অর্জনে সবসময় পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন তার বন্ধু ও বড় ভাইয়েরা। তার সফলতায় খুশি সকলে৷ পরবর্তীতেও তার পাশে থাকতে চান তারা।
অংকনের মা জাহেদা বেগম আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন,সন্তানের এমন অর্জনে আমাকে গর্বিত মা করেছে। আগামী দিনে সে যাতে করে আরো সফলতা বয়ে নিয়ে আসতে পারে সেটার জন্য সবার দোয়া করবেন৷
জাহিদুল ইসলাম অংকন বলেন,ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা ও অবসর সময়কে কাজে লাগানোর চিন্তা থেকে বিশ্ব রেকর্ডের মিশনে পথচলা। করোনায় লকডাউনের অবসর সময় ও পড়াশোনার ফাঁকে অধ্যাবসায়ের ফসল এ আজকের এ সফলতা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, বিশ্বের দরবারে নিজের দেশ ও জেলার নাম সমুন্নত রাখা প্রশংসার দাবি রাখে৷ যা করে দেখিয়েছেন অংকন৷ পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে৷