আর্কাইভ  রবিবার ● ২ এপ্রিল ২০২৩ ● ১৯ চৈত্র ১৪২৯
আর্কাইভ   রবিবার ● ২ এপ্রিল ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: ভোক্তাপর্যায়ে দাম কমলো এলপি গ্যাসের       পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১       রংপুরে অঞ্জলিকা সাহিত্যপত্র আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে       লালমনিরহাটে ২০ বছর ধরে ছেলেকে বেঁধে রেখেছেন বাবা-মা       ট্রেনের টিকিটে সহযাত্রীর নাম বাধ্যতামূলক      

ঠাকুরগাঁওয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন 

রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২, রাত ০৯:৪৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দর্শকদের অভিযোগ খেলার মাঠে দেশীয় অস্ত্র আসলো কিভাবে? 

রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু জানান, রোববার বিকেলে জেলা স্কুল বড় মাঠে আজাদ ক্লাব বনাম জাগ্রত যুব সংঘের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৯০ মিনিটের খেলায় জাগ্রত যুব সংঘ দুই ও আজাদ ক্লাব এক গোল দেন। খেলার সময় শেষ হলে রেফারি লস্ট টাইম দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়। দুই মিনিটের মধ্যে আজাদ ক্লাব বল অফ সাইড থাকা অবস্থায় জাগ্রত যুব সংঘ কে আরো একটি গোল দেয়। কিন্তু লাইসম্যান গোলের আগেই তা অফ সাইড দিয়েছে। সেটিকে অফ সাইড মেনে নিতে পারেন নি আজাদ ক্লাবের দর্শকরা। এই নিয়ে উত্তেজিত জনতা লাইসম্যানকে ঘিরে রাখে। 

এসময় উৎসুক জনতা মাঠে প্রবেশ করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলে পরে আবার মাঠের বাইরে সংঘর্ষ কিছু লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কতজন আহত হয়েছেন তা সঠিক জানা নেই। তবে এই খেলা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে খেলা কিভাবে পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি। 

এ ঘটনায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন আহতদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

খেলা দেখতে আসা অনেকেই জানায়, খেলার মধ্যে হার-জিত থাকবেই তাই বলে মারামারি করতে হবে কেন? খেলার মধ্যে যে ভাবে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি করলো তার মানে বুঝায় যাচ্ছে এটা পূর্ব পরিকল্পিত। যদি পূর্ব পরিকল্পিত না হয় তাহলে মুহুর্তের মধ্যে কিভাবে এতো দেশীয় অস্ত্র পেলো তারা। খেলায় যদি নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে খেলার আয়োজন কেন করা হয়। দ্রুত অপরাধীর আইনের আওয়াতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া কথা জানান দর্শকরা। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, শহরের জাগ্রত যুব সংঘ ও আজাদ ক্লাব এর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মন্তব্য করুন


Link copied