ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) মানববন্ধন একই সময়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি হওয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। উত্তেজনাকে ঘিরে বিএনপির কর্মসূচির মাইক খুলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
শনিবার ১১ মার্চ সকালে বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদের আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও গ্যাস, তেল ও বিদুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ১০ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
কর্মসূচি চলা অবস্থায় মাইকের আওয়াজে শান্তি সমাবেশে ব্যাঘাত ঘটায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির কর্মসূচির মাইক খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
জেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির বিশেষ প্রতিনিধি ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, এ সরকার ভোট চোর সরকার। ২০১৪ সালের মত আর ২০১৮ সালের মত রাতের ভোট আর দেশে হতে দেওয়া হবেনা। শুধু ঘুষ খেলেই হারাম হয়না। ভোট চুরি করে সরকার হলে সেটিকেও হারাম সরকার বলে। এ সরকার হারাম সরকার ও নাজায়েজ সরকার। এ সরকারের অধীনে আর ভোট হতে দেওয়া হবেনা।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও -০১ আসনর সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন এমপি। তিনি বলেন, এ সরকারের মত উন্নয়ন আর কোন সরকার করেননি। তারা আমাদের সামনে দিয়ে ১০০ লোক নিয়ে ¯েøাগান দিয়ে যায়। আমরা প্রতিহত করতে পারতাম কিন্তু আমরা তা করিনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক ধৈর্য্যশীল। তিনি ধৈর্য্যের সাথে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তবে পরবর্তীতে আমাদের সাথে লাগতে এলে আমরা তা প্রতিহত করব।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, একই সময়ে দুটি দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি হওয়ায় খানিকটা উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। পরবর্তীতে পুলিশ তা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে।