ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:- দেশের উত্তরের কৃষিপ্রধান জেলা ঠাকুরগাঁও। অধিকাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভর করে থাকেন৷ তবে অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠায় যেমনি কমছে আবাদি জমি অপরদিকে পরিবেশের জন্য বয়ে নিয়ে আসছে ক্ষতি৷ তারপরেও কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ইটভাটা গুলো।
গেল বছরের নভেম্বরে দেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা জারি করেন হাইকোর্ট। তবে এ নির্দেশনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ব্যর্থ কর্তৃপক্ষ।
রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় মোট ১১৯ টি ইটভাটা রয়েছে৷ যার মধ্যে বৈধ ভাটার সংখ্যা মাত্র ৫ টি৷ বাকী ১১৪ টি ইটভাটা নিয়ম না মেনে (ছাড়পত্র বিহীন) অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এর আগে সে জেলাটি পঞ্চগড় জেলা দেখভাল করতেন৷ এখন বিভাগীয় অফিস থেকে দেখা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সাথে সম্বনয় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে৷ এরপরেও আমরা পরিবেশ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷
আর যে গুলো ভাটাতে ভ্রাম্যমাণ দেওয়ার পরও চলছে তাদের বিষয়েও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। এর আগে পঞ্চগড়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের জেলা দেখভাল করায় অনেকটা সহজ ছিল। এখন বিভাগীয় অফিস দেখছে৷ যাতে করে অবৈধ ইটভাটা গুলো কার্যক্রম না পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে৷