ডেস্ক: ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দেশের লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত সর্ববৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুর ১২টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্যারাজ ও নদী তীরবর্তী মানুষজন জানান, কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে গেছে। ফলে গত মাসের (মে) শুকনো মরুময় তিস্তা নদী পানিতে ফুলে ফেপে উঠেছে। ফিরে পেয়েছে তিস্তা তার আপন সৌন্দর্য। নৌকা আর মাঝি মাল্লাদের ব্যস্থতা বেড়েছে। জেলেরাও প্রায় ফিরে পেয়েছেন তিস্তার পানি আর মাছ।
পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল নিমজ্জিত হয়েছে। অতিরিক্ত পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। ভারতের গজলডোবায় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।
নদী পাড়ের মানুষরা জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ পয়েন্টে তিস্তার পানি এখনও বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে এ সময় পানি প্রবাহ বাড়া-কমার মধ্যেই থাকবে।