স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা সেতুর ওপর থেকে চালককে নদীতে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে পালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ সময় অটোচালককে উদ্ধার করে রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় টহল পুলিশ।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে লালমনিরহাট সদর থানার এসআই রওশানুল খাবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দিনগত রাতে ওই সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হলেন, কুড়িগ্রামের রাজারহাট সদরের মেকড়টারি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে চালককে তিস্তা ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়ার পর দেরি না করে তারা অটোরিকশাটি ঘুরিয়ে রংপুরের দিকে চলে যায়। এ সময় এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা বুঝতে পেরে টোলপ্লাজায় অবস্থানরত টহল পুলিশের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়। পরে ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে টোল প্লাজায় অবস্থানরত লালমনিরহাট সদর থানার এসআই রওশানুল খাবিরসহ টহল পুলিশ সদস্যরা দ্রুত একটি নৌকায় করে সেতুর নিচে গিয়ে নদীতে নামেন। পরে নৌকার মাঝি আজিজুল ও পুলিশ সদস্য শ্যামল প্রবল স্রোতের মধ্যেই মাঝ নদী থেকে অটোরিকশা চালককে উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগী অটোচালক জানান, মঙ্গলবার রাতে রংপুরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা মোড় থেকে রাজারহাটের তিস্তা যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় উঠেন আট তরুণ। এ সময় তাদের সঙ্গে ৪০০ টাকা ভাড়া ঠিক করে রাজারহাট তিস্তা এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা হয়।
তিনি আরও জানান, তিস্তা সেতুর ঠিক মাঝামাঝি পৌঁছালে গাড়ি থামাতে বলে ওই তরুণরা। এ সময় তাদের কথামতো গাড়ি থামাই। পরে সবাই মিলে জোরপূর্বক আমাকে সেতুর রেলিংয়ের ওপর দিয়ে মাঝ নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় দূর থেকে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে কয়েকজন ছুটে আসার আগেই তারা অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার এসআই রওশানুল খাবির জানান, মঙ্গলবার রাতে আমরা খবর পেয়ে দ্রুত আসাদুল ইসলামকে নদী থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তবে তিনি সাঁতার না জানলেও কোনো রকমে ব্রিজের পিলার জাপটে ধরে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।