আর্কাইভ  বুধবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৩ ● ১৯ আশ্বিন ১৪৩০
আর্কাইভ   বুধবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৩
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও একজনের        শিশুসন্তানকে নিয়ে বাজারে স্বামী, ঘরে মিললো স্ত্রীর মরদেহ        বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী       অ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহ পরিবহনের আড়ালে মাদক ব্যবসা, গ্রেপ্তার ২       এলপিজির দাম আবারও বাড়ল      

তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপথ

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, দুপুর ১২:৩৬

শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকে:তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপথ দিনাজপুর। ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা এ জনপদের।জেলায় আজ রবিবার ( ২৫ ডিসেম্বর) মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র সাধারণ মানুষ। প্রচন্ড ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিন-মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ।

শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। 

জেঁকে বসা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবী মানুষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠান্ডর কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা।

শীতার্ত মানুষের পাশাপাশি পশুপাখির দুর্ভোগের মাত্রাও বেড়ে গেছে। ধানের বীজতলা ও আলুখেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেনকৃষকেরা।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন,জেলার তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ওইদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ছিলো ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি। শনিবার ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ রোরবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা মৌসুমে এ জেলায় সর্বনিম্ন।

তীব্র শীতের মধ্যেও ছিন্নমূল ও হতদরিদ্রদের জীবিকার সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। যে কারণে তাদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। চাউলিয়াপট্রি এলাকার বাসিন্দা অটো বাইক চালক হাসমত হোসেন বলেন, ‘ এইবারে জাড়ে (শীত) শরিল ( শরীর) কাঁপি উঠিছে। ঠান্ডার ঠেলায় গাড়ি চালানোই যাচ্চে না।'

শহরের শ্রম বাজার সষ্টিতলায় কাজের সন্ধানে অবস্থানরত বিরল উপজেলার বালিয়াপাড়ার শ্রমজীবী মকসেদ আলী জানালেন,'অবস্থা খুবই খারাপ বাহে,কাম-কাইজ নাই।তারপরত এই ঠান্ডাত বহু-বাঁচ্চার জন্যে কামত আইছি। মনে হচে কাঁপেছে,শরিলটা। '

এদিকে আজ সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের লুকোচুরি আর কনকনে হিমেল হাওয়ায় জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। 

কিছু সময়ের জন্য সূর্য দেখা দিলেও বন্ধ হয়নি শীতের কামড়। 

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.নুরুজ্জামান জানিয়েছেন,এই শীতে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই,বোরো বীজতলা রক্ষায় চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

 

 

 

মন্তব্য করুন


 

Link copied