হাসান আল সাকিব: বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রংপুর থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। এদিকে টানা তিন দিন ধরে এ গায়েবি ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কামাড়পাড়া কোচ স্ট্যান্ডে গিয়ে যায় অলস সময় কাটাচ্ছেন গাড়ি চালক ও শ্রমিকরা।কাউন্টার গুলোতেও বন্ধ টিকিট বিক্রি। ধর্মঘটের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন ৩টি পরিবহন চলাচল করলেও আজ সকাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস এখান থেকে ছেড়ে যায় নি।এর আগে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে রংপুরে এই কর্মবিরতি পালন শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্টারের সামনে সঙ্গে কথা হয় ঢাকাগামী কয়েকজন যাত্রীর । তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করার আন্দোলন শুধুমাত্র বিড়ম্বনায় ফেলা ছাড়া আর কিছু নয়। এ বিষয়টি দ্রুত নিষ্পিত্তি হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে শ্রমিকরা দাবি করে বলেন, দুই তিনটি পরিবহনের ড্রাইভারদের বেতন ১ হাজার ৯৫০ টাকা, সুপারভাইজারের বেতন ৯০০ শত টাকা আর হেল্পারের বেতন ৮০০ শত টাকা দেওয়া হয়। সেখানে অন্যসব পরিবহনের স্টাফদের প্রায় এর অর্ধেক বেতন-ভাতাদি প্রদান করা হয়। এই বৈষম্য দূর করে তাদেরও বেতনভাতাদি বাড়ানোর দাবি জানান শ্রমিকরা। এছাড়াও সড়ক-মহাসড়কে পুলিশি হয়রানী বন্ধসহ শ্রমিকদের ৫ দফা দাবি আদায়ে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
রংপুর মোটর মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে চৌধুরী জানান,বিষয়টি নিয়ে ঢাকার মালিকদের সাথে দ্রুত সমাধানে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সিদ্ধান্ত হলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন,মটর শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে কোনো ধর্মঘট ডাকা হয়নি। মূলত মালিকপক্ষের নির্দেশে একটি পক্ষ বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।কারা এভাবে বারবার অঘোষিত ধর্মঘট ডাকে তা খুঁজে বের করারও দাবি জানান এই শ্রমিক নেতা।