দিনাজপুর: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার আত্রাই নদী থেকে সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমাবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মরদেহ শিশুর এবং চারটি নারী দেহ রয়েছে।
বীরগঞ্জ ও খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জরা (ওসি) জানান, মরদেহগুলো পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মরদেহ। নদীর স্রোতে এগুলো ভেসে এসেছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত সরকার জানান, তারা বীরগঞ্জ আত্রাই নদীর কাশিমনগর বাদলা ঘাট থেকে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন। শিশুটির নাম সুব্রত রায়, বয়স আড়াই বছর। শিশুটি পঞ্চগড় উপজেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া গ্রামের প্রফুল্ল রায়ের ছেলে।
খানসামা থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন জানান, তার এলাকায় আত্রাই নদীর জিয়া সেতুর কাছ থেকে চার নারী ও দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তাদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মমিনুল করিম জানান, যেসব মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে তাদের নাম ও পরিচয় সংগ্রহ করে পুলিশের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে আত্রাই নদী থেকে উদ্ধার মরদেহগুলো করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মরদেহ কি-না তা নিশ্চিত করতে পারেনি এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান পঞ্চগড় জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়।
রোববার দুপুরে বোদা বদ্বেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া উৎসব উৎযাপন করতে প্রায় দেড় থেকে ২০০ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী মাড়েয়া এলাকা থেকে বদ্বেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানোর জন্য আওলিয়া ঘাটের করতোয়া নদীর মাঝে যাত্রীসহ ডুবে যায় নৌকাটি। এতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত নৌকার মাঝি হাসান আলীসহ ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।