শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মাথার চুল কেটে এবং মুখে কালি লাগিয়ে এক গৃহপরিচারিকা কিশোরীকে নির্যাতনের ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতদের আজ বৃহস্পতিবার ( ৬:এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর গ্রামের বড় শীতলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর মা বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার সুজালপুর গ্রামের বড় শীতলাই গ্রামের মো. হাবিরের স্ত্রী মোছা. কুলসুম বেগম (৩৫) এবং একই এলাকার মো. মফিজুল ইসলাম মফিজের স্ত্রী মোছা. দেলজান বেগমকে (২৬) গ্রেফতার করে। তবে মামলার প্রধান আসামিসহ অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।মামলার প্রধান আসামি মৃত মাহাবুর রহমানের মেয়ে মোছা. শারমিন মাহাবুবের বাসায় বাদীর কিশোরী মেয়ে (১৫) দীর্ঘদিন ধরে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে আসছিল। চরিত্র হননের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গালমন্দ শুরু করলে ওই কিশোরীটি বাবার বাড়িতে অবস্থান চলে যায়। পরে একই বিষয় নিয়ে অন্যান্য আসামি কিশোরীটিকে দোষারোপ করে গালমন্দ করে। এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা ও মা প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে শক্রতার সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত ২ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১০টায় আসামিরা কিশোরীটির বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে মারধর করে এবং মাথার চুল কেটে দিয়ে মুখে কালি মেখে দিয়ে নির্যাতন করে। পরে আসামিরা পরিবারের লোকজনকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়।