শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে: ইসলামী ব্যাংক এজেন্টের ফিল্মী স্টাইলে ছিনতাই হওয়া প্রায় ১০ লাখ টাকার ৮ ছিনতাইকারীকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার করেছে দিনাজপুর পুলিশ। সেই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে মাটির নিচে পুতে রাখা ছিনতাইকৃত ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা,ছিনতাই কাজে ব্যবহারকৃত ৩ টি মটর সাইকেল,্একটি ধারালো চাপাতি, ব্যাগ,জুতা ও মোবাইল ফোন।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ (পিপি এম সেবা) এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার দপ্তরের সেমিনার কক্ষে আজ রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত এ প্রেস ব্রিফিং এ লিখিত ভাবে জানানো হয়,ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর বিরল উপজেলার এজেন্ট মো .সাইদুর রহমান গ্রাহকদের জমাকৃত ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ২৪ নভেম্বর সন্ধায় বিরল হতে দিনাজপুর শহরে মূল শাখায় জমা দিতে আসার পথে শহরের বালুয়াডাঙ্গা এলাকায় ১০ জন ছিনতাইকারী ফিল্মী স্টাইলে চলন্ত মোটর সাইকেলে লাথি মেরে ফেলে। পরে সাইদুরকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৫ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গেন সাথে উদ্ধার করা হয়,ছিনতাই হওয়া প্রায় ১০ লাখ টাকার মধ্যে মাটিতে পুতে রাখা ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা,ছিনতাই কাজে ব্যবহারকৃত ৩ টি মটর সাইকেল,্একটি ধারালো চাপাতি, ব্যাগ, ৫টি মোবাইল ফোন গেঁ ও ভিকটিমের ব্যবহাকৃত মোটর সাইকেলের চাবি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,দিনাজপুর ৭ নং উপ শহর এলাকার মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে মো.সজিব আলী বাবু (২৭), ৫ নং উপ শহরের মৃত আবুল কালামের ছেলে মো.শাখাওয়াত সরকার অর্ণব (৩০),৩ নং উপ শহরের মৃত মোকাররম হোসেনের ছেলে নাদিম মাহমুদ রাজ ((২৪), একই এলাকার নূর কুতুবুল আলমের ছেলে মো. ফজলে রাব্বী (২৫),৬ নং উপ শহরের মো.হাবুল সদ্দারের ছেলেমো.দাবাতুল ইসলাম উজ্জল (৩৭),সুইহারী খালপাড়া এলাকার মৃত সামছুল আলমে ছেলে মো. রবিউল ইসলাম সুমন ((৩২),উপ শহর এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম কনক ((৩০) ও পুলহাট বাহারপাড়া এলকার মো. সামিনুল ইসলামের ছেলে মো. মাইদুল ইসলাম মিঠুন (৩০)।
উদ্ধারকৃত টাকা ও মালামাল সহ আসামীদের আজ রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজরে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ মামলায় আব্দুল গফুর ও মেরাজ নামে আরো দু’জন আসামী পলাতক রয়েছে।
প্রেস বিফ্রিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) আসলাম উদ্দীন, ডিবি ওসি ফারুকুল ইসলাম, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) তানভীরুল ইসলাম, ওসি তদন্ত গোলাম মাওলাসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।