শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকেঃ স্ত্রী তালাক দেয়ার জেরে দুই পুত্রসন্তানকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযুক্ত ঘাতক পিতা শরিফুল ইসলামকে আটক করেছে,পুলিশ।
বিরল উপজেলার ধামইর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে আজ শুক্রবার রাত ৮ টায় আটক করে বিরল থানা পুলিশ।
ঘাতক শরিফুলকে আটকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, বিরল থানার ওসি তদন্ত মো.আবু বককর সিদ্দিক রাসেল।
প্রসঙ্গত: স্ত্রী তালাক দেয়ার জেরে দুই পুত্রসন্তানকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পর ঘাতক পিতা শরিফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে কোন এক সময় বিষ প্রয়োগে হত্যার পর নিজেই মুঠোফোন এ আজ সকালে তার পরিবারের লোকজনকে জানান।
আজ শুক্রবার সকালে অভিভাবকদের সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুই শিশু ইমন (৭) ও ইমরান (৩)এর মরদেহ উদ্ধার করে বিরল থানা পুলিশ। বিরল পৌরসভার শংকরপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই বিলো মিটার দূরে বিরল-দিনাজপুর সড়ক সংলগ্ন ৭ নং বিজোড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে পুলিশ এ মরদেহ দু'টি উদ্ধার করেন। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠেয়েছে। সন্তান হত্যার খবর মুঠোফোনে খবর জানিয়ে
নিখোঁজ যায় ঘাতক পিতা শরিফুল ইসলাম(৩০)। বিরলের শংকরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। পেশায় সে কৃষিজীবী। তবে,মাঝে মাঝে আইনক্রিম ফেরি করে বেড়াতেন। তার দুই পুত্র সন্তান ইমন (৭) এবং ইমরান (৩)। প্রায় আড়াই মাস আগে তার স্ত্রী উর্মি বেগম (২২) স্বামী শরিফুলকে তালাক দিয়ে রাজধানী ঢাকায় পোষাক তৈরির কারখানায় কাজ নিয়েছে।
শীতের পোষাক কিনে দেওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দুই ছেলেকে বাড়ী থেকে সঙ্গে নিয়ে বের হন পিতা শরিফুল ইসলাম। রাতে বাড়ীতে মুঠোফোনে সে জানায়, বিষ প্রয়োগে দুই ছেলেকে হত্যা করে লাশ ভবানীপুর স্কুলে ফেলে রেখেছে সে। নিজেও বিষ পান করেছে বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিখোঁজ থাকে শরিফুল।