দিনাজপুর: পৌষের তীব্র শীতেও সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। এই জেলায় বুধবার (১২ জানুয়ারি) ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ এই বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টিপাতের ফলে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা স্থানভেদে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। আর আগামী ১৪-১৫ জানুয়ারিতে হানা দিতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
দিনাজপুরের আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় দিনাজপুরে এক দশমিক দুই মিলিমিটার এবং দুপুর ২টার দিকে ৯ দশমিক আট মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ আট ঘণ্টায় জেলায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এই শীত মৌসুমের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত আর কোনও জেলাতে হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এই বৃষ্টিপাতের ফলে রাত থেকেই তাপমাত্রা কমবে। রাত থেকেই তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে অর্থাৎ আগামী ১৪-১৫ জানুয়ারির দিকে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে। যা দিনাজপুর জেলার ওপরেও থাকতে পারে। এই শৈত্যপ্রবাহটি ধীরে ধীরে বেশ কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিকে হঠাৎ বৃষ্টির ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। একইসঙ্গে হিমেল বাতাসও প্রবাহিত হচ্ছে। কালীতলা এলাকার অটোরিকশাচালক রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদিন ধরে তেমন ঠান্ডা নেই। তবে দুপুরে বৃষ্টির ফলে কিছুটা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। হাত দিয়ে রিকশার হ্যান্ডেল ধরে রাখা যাচ্ছে না। এই ঠান্ডা বেড়ে গেলে আমাদের উপার্জনও কমে যায়। ফলে কিছুটা দুশ্চিন্তা তো ভর করছেই।’
আরেক অটোরিকশাচালক মঙ্গলু রায় বলেন, ‘ঠান্ডার মধ্যে রাস্তাঘাটে লোকজন কম থাকে। ফলে উপার্জন কম হয়। এই শীতকালটা আমাদের জন্য কম উপার্জনের মৌসুম। গরমের সময় মোটামুটি ভাড়া বেশি পাওয়া যায়। আর এই সময়ে রিকশা চালানো কষ্টের।’
পথচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাঁটাহাঁটি করলে তেমন ঠান্ডা লাগে না। তবে মনে হয়, আজকে একটু ঠান্ডা পড়েছে। বৃষ্টি হয়েছে তো, এই জন্যই মনে হয়।’