আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩ ● ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসির স্বপ্নের তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে        রংপুরে এসআই পদে মাঠ পরীক্ষা দিতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু       এবার ১০ দিন আগেই বাজারে আসছে ‘হাঁড়িভাঙা আম’       ঘোড়াঘাটে মোজাম পার্ক থেকে ৬ পতিতা নারী সহ ৯ জন আটক       সারা দেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা      

দিনাজপুরে স্ত্রী তালাক দেয়ার জেরে দুই পুত্র সন্তানকে হত্যা

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২, দুপুর ০১:১৯

 দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে স্ত্রী তালাক দেয়ার জেরে দুই পুত্রসন্তানকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পর পিতা নিজেই অভিভাবকে মুঠোফোনে হত্যার কথা জানিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকালে অভিভাবকদের সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুই শিশু ইমন (৭) ও ইমরান (৩)এর মরদেহ উদ্ধার করেছে বিরল থানা পুলিশ। 

ঘটনাটি ঘটেছে, দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। বিরল পৌরসভার শংকরপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই বিলো মিটার দূরে বিরল-দিনাজপুর সড়ক সংলগ্ন ৭ নং বিজোড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠেয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো.আবু বককর সিদ্দিক রাসেল জানিয়েছেন, গেল বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময়ে দুই সন্তানকে হত্যা করে বাড়ীতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে খবর জানিয়ে নিখোজ রয়েছে ঘাতক পিতা।

ঘাতক পিতা শরিফুল ইসলাম(৩০) বিরলের শংকরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। পেশায় সে কৃষিজীবী। তবে,মাঝে মাঝে আইনক্রিম ফেরি করে বেড়াতেন। তার দুই পুত্র সন্তান ইমন (৭) এবং ইমরান (৩)। প্রায় আড়াই মাস আগে তার স্ত্রী উর্মি বেগম (২২) স্বামী শরিফুলকে তালাক দিয়ে রাজধানী ঢাকায় পোষাক তৈরির কারখানায় কাজ নিয়েছে। 

শীতের পোষাক কিনে দেওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দুই ছেলেকে বাড়ী থেকে সঙ্গে নিয়ে বের হন পিতা শরিফুল ইসলাম। রাতে বাড়ীতে মুঠোফোনে সে জানায়, বিষ প্রয়োগে দুই ছেলেকে হত্যা করে লাশ ভবানীপুর স্কুলে ফেলে রেখেছে সে। নিজেও বিষ পান করেছে বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিখোঁজ রয়েছে শরিফুল।

স্বজনরা জানান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাকের পর দাদা রফিকুল ইসলাম এবং দাদী আছিয়ানা দেখভাল করতেন দুই নাতীকে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শরিফুলের কোন সন্ধান মিলিনি।

 

মন্তব্য করুন


 

Link copied