মমিনুল ইসলাম রিপন: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ডান-বাম নিয়ে বহুবার জোট গঠন করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কাছে পরাজিত হয়েছে। এবারে বিএনপি রাজনীতিতে যারা পরিত্যক্ত, সেই রাজনৈতিক টোকাইদের নিয়ে ৩৪ দলীয় জোট গঠন করেছে । সেই জোট নিয়ে দিনের বেলা পদযাত্রা, পদভ্রমণ আর রাতে বিদেশী কুটনৈতিকদের কাছে পদলেহন করছেন।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাড়ে চারটায় রংপুর মহানগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বিএনপি-জামায়াতের বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ভালো করেই জানে তারা আগামীতেও জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। একারণে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি হলো বিষধর সাপ, সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে। বিএনপি দেশে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সেই অপচেষ্টাকে রুখে দিতে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের সেই শান্তি সমাবেশে হামলা করছে। বিএনপিকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের একটি নীতি আছে, সেটি হলো কেউ খোঁচা দিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেগে ওঠে। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খোঁচা দিবেন না তাহলে খবর আছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নয়, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে। তাই আবোল তাবোল না বকে, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মনে করেছিল তাদের সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে আওয়ামী লীগ পরে যাবে। তাদের পদত্যাগে আওয়ামী লীগের কাতুকুতু লেগেছে, তাছাড়া কিছুই হয়নি। বরং উপনির্বাচন করে সবাই শপথও নিয়েছে। বিএনপির পদত্যাদ করা সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার পুনরায় নির্বাচন করে এখন সংসদ সদস্য। তাই বিএনপিকে বলবো আগামীতে নির্বাচন বর্জন করার যদি পথ নেন, তাহলে শত শত উকিল আব্দুস সাত্তার রেডি হয়ে আছে নির্বাচনের জন্য। প্রস্তুত আছে নাজমুল হুদার দলও। তাই সাবধান হয়ে যান।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম।
এছাড়াও বক্তৃতা করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহবায়ক মাজেদ আলী বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মন্ডল প্রমুখ।