বিশেষ প্রতিনিধি॥জসিমউদ্দিন বয়স পঁচিশ। সাদা মনের যুবক। সংসারের ঘানি টানতে বেছে নেয় ফেরি করে কাপড় বিক্রি। তিস্তা নদীর বাঁধ,চর বা গ্রামে গ্রামে পায়ে হেটে ফেরি করে কাপড় বিক্রি করেন জসিম। গত শনিবার (২১ জানুয়ারী) ফেরি করে কাপড় বিক্রির সময় এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার পথে ভুল করে প্রবেশ করে ভারতের গ্রামে। আর এতেই ধরা পড়ে যান ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর হাতে। এ অবস্থায় ভারতীয় জেলে যাওয়ার কথা জসিম উদ্দিনের। কিন্তু তা না করে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। কিন্তু কেন?
যখন বাংলাদেশি কেউ অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেন, তখন তাঁকে আটককরে পুলিশের হাতে তুলে দেন বিএসএফ কর্তারা এটাই নিয়ম। কিন্তু এ বার দেখা গেল উল্টো ঘটনা। রীতিমতো ফ্যাগ মিটিং করে বাংলাদেশের নাগরিককে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-র হাতে তুলে দিলেন বিএসএফ জওয়ানেরা।দুইদেশের সীমান্তরী বাহিনী পর¯পরের সঙ্গে সাাত করতে চাইলে তারা নির্দিষ্ট রঙের পতাকা নাড়িয়ে অন্য পকে ডেকে নেয়। এরই নাম ফ্যাগ মিটিং।
সুত্র মতে শনিবার এক বাংলাদেশি ফেরিওয়ালা উন্মুক্ত দহগ্রাম সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন। তাঁর পরেই তাঁকে আটক করেন বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের অর্জূন সীমা চৌকির জওয়ানেরা। তাঁকে জেরা করে বিএসএফ জানতে পারে, নিছকই পথ ভুল করে ভারতীয় ভূখন্ডে ঢুকে পড়েছেন শীত পোশাকের ওই ফেরিওয়ালা। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় কিছু শীতের পোশাকও। সীমান্ত রী বাহিনী জানতে পারে, তাঁর নাম মহম্মদ জসিমউদ্দিন (২৫)। বাড়ি বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জে। বিজিবি-ও একই দাবি করে বিএসএফের কাছে। তার পরেই বন্ধুত্বপূর্ণ স¤পর্কের নজির রেখে জসিমউদ্দিনকে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
ফেরিওয়ালা জসিমউদ্দিন বলেন, বিএসএফকে ধন্যবাদ। এই ভুল জীবনে আরহবে না! বিএসএফের উত্তরবঙ্গের আইজি অজয় সিং ভারতীয় গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে বলেছেন সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানরা সদা তৎপর রয়েছেন। সীমান্ত অতিক্রম করতেই এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেন বিএসএফ জওয়ানরা। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি, ভুল করে ভারতে প্রবেশ করে ওই যুবক। তাই তাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।