আর্কাইভ  সোমবার ● ৫ জুন ২০২৩ ● ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
আর্কাইভ   সোমবার ● ৫ জুন ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: দিনাজপুরে র‍্যাবের অভিযানে বিপুল মাদকসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক       সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি       তিস্তা শেখ হাসিনা সেতু সংযোগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন       রংপুরে হঠাৎ বৃষ্টিতে জনজীবন স্বস্তি       নীলফামারীর চিলাহাটি-ঢাকা দিবাকালিন ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী      

পাইপ ফেটে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সিংহভাগ উৎপাদন বন্ধ

শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩, বিকাল ০৬:৫৪

ডেস্ক: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্টিম পাইপ ফেটে যাওয়ায় তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে দৈনিক ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তিন ইউনিটবিশিষ্ট এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে এক নম্বর ইউনিট চালু আছে, যা থেকে ৭৫-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিসংলগ্ন এলাকায় তিনটি ইউনিট নিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কারিগরি কারণে একটি ইউনিটকে পর্যাক্রমে ওভার হোলিং এ রেখে দুইটি ইউনিট চালু রাখা হয়। বর্তমানে এক ও তিন নম্বর ইউনিট চালু ছিল।

চালু থাকা দুটি ইউনিটের মধ্যে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃতীয় ইউনিটের স্টিম পাইপ ফেটে যায়। এর ফলে ওই ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। আর এই ইউনিট উৎপাদনে রাখতে প্রতিদিন ২ হাজার ৬০০ টন কয়লা ব্যবহার কার হয়।

বর্তমানে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এক নম্বর ইউনিট থেকে ৭০-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ওখানে প্রচন্ড গরম থাকায় ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠান্ডা হলেই মেরামত শুরু হবে। এতে একদিন সময় লাগতে পারে।

তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের কেমন ঘাটতি হবে- এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন ইউনিট থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হতো উৎপাদন ঘাটতি হবে। এতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ ঘাটতি হতে পারে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied