আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ● ৩০ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫
হাসিনার দাবি, তিনি ‘আয়নাঘর’ সম্পর্কে ‘জানতেন না’!

হাসিনার দাবি, তিনি ‘আয়নাঘর’ সম্পর্কে ‘জানতেন না’!

নীল ড্রামে খণ্ডিত লাশ: সব ‘সন্দেহের তীর’ বন্ধুর দিকে

নীল ড্রামে খণ্ডিত লাশ: সব ‘সন্দেহের তীর’ বন্ধুর দিকে

ছাত্রের ‘যৌন নিপীড়নের’ মামলায় ঢাবি শিক্ষক কারাগারে

ছাত্রের ‘যৌন নিপীড়নের’ মামলায় ঢাবি শিক্ষক কারাগারে

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

পাকিস্তানে তিন বাহিনীর প্রধান হলেন আসিম মুনির, বাড়ছে মেয়াদও

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, বিকাল ০৭:২৮

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে দেশটির চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর তার মেয়াদ নতুন করে গণনা করা হবে। পাকিস্তান সরকার জাতীয় পরিষদে তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ বিষয়ক সংবিধানের সংশোধনী বিল উত্থাপনের পরই সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সেগুলো পাস হয়।

প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বিতর্কিত ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীতে স্বাক্ষর করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই সংশোধনী বিলগুলো সংসদে তোলা ও পাস করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট (সংশোধনী) বিল-২০২৫, পাকিস্তান এয়ার ফোর্স (সংশোধনী) বিল-২০২৫ ও পাকিস্তান নেভি (সংশোধনী) বিল-২০২৫ জাতীয় পরিষদে উপস্থাপন করেন। এগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়।

 

আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার জানান, আর্মি অ্যাক্টে পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) বা সেনাপ্রধানকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে মনোনীত করা এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি) পদ বিলোপ করা। নতুন কাঠামোয় সিডিএফের মেয়াদ হবে নিয়োগের তারিখ থেকে পাঁচ বছর।

সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, নতুনভাবে সিডিএফ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার দিন থেকেই বর্তমান সেনাপ্রধানের মেয়াদ পুনরায় শুরু হবে। জেনারেল আসিম মুনির সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৭তম সেনাপ্রধান। চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের পর আসিম মুনিরকে পাঁচ তারকা জেনারেল, অর্থাৎ ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়।

এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার ছয়টি বিল পাস করে, যার মধ্যে তিনটি ছিল সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। বিরোধীদের ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যেই এই বিলগুলো পাস হয়। বিলগুলোর মূল বিষয়বস্তু ছিল, তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন বছরের বদলে পাঁচ বছর করা। জেনারেল, এয়ার চিফ মার্শাল ও অ্যাডমিরালদের জন্য নির্ধারিত অবসরের বয়সসীমা ৬৪ বছর এই তিন শীর্ষ পদে প্রযোজ্য হবে না। পুনরায় নিয়োগ বা মেয়াদ বৃদ্ধিও পাঁচ বছরের ভিত্তিতে হবে। তবে সিজেসিএসসির মেয়াদ তখনো তিন বছরই রাখা হয়।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ খান বলেন, সেনাপ্রধানের মেয়াদ ২০২৭ সালে শেষ হবে এবং তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না।

সূত্র: ডন

মন্তব্য করুন


Link copied