আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩ ● ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: আদানির কেন্দ্র থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু       নীলফামারীতে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম রাজস্ব খাতে নিতে স্বারকলিপি প্রদান       নীলফামারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন       নীলফামারীতে শিশু শ্রম নিরসন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত       নীলফামারী র‌্যাব-১৩ অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার      

ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে সন্তানসহ আত্মহত্যার হুমকি; উদ্ধার করল পুলিশ 

রবিবার, ২১ মে ২০২৩, সকাল ০৮:৪৫

সাইফুর রহমান শামীম ,কুড়িগ্রাম:  প্রেমর ফাঁদে প্রতারিত হয়ে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে একমাত্র মেয়েকে হত্যা করে নিজেকে শেষ করবেন বলে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দেন এক নারী। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে এ ঘোষণা দেন।  পরে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে উদ্ধার করলো কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ। 

শনিবার (২০ মে) বিকেলে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।  ওই নারীর বাড়ি কুড়িগ্রাম পৌর শহরের হাসপাতাল পাড়া এলাকায়।

পুলিশ জানায়, তার আত্মহত্যার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখার পর। তাৎক্ষণিক ভাবে শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আগে ওই নারীর দুই জায়গায় বিয়ে হয়ে সংসার হয়নি। তার এক সন্তান রয়েছে। দেড় বছর প্রেম করে সম্প্রতি নীলারাম এলাকার সাজ্জাদুর রহমান সাজু নামে একজনকে বিয়ে করে। বিষয়ে পর জানতে পারে তার পূর্বের স্ত্রী আছে। প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হলে বর্তমান স্বামী ( সাজু) যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে দুঃশ্চিন্তা থেকে এই পোস্ট করেছেন তিনি এবং আত্মহত্যার ঘোষণা দেন। 

জাকিয়া ফেরদৌসী নামের ফেসবুক আইডে যা লেখা ছিল তা হুবহু তুলে ধরা হলো। "আমার মৃত্যুর জন্য এই ছেলে দায়ি৷ আমি আমার মেয়েকে আগে হত্যা করবো তারপরে নিজে বিষ খেয়ে মরবো। এই ছেলে আমার কাছে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিয়ে করছে, সংসার করতে চায় না। এই ছেলের নাম সাজু, সাজ্জাদুর রহমান। এখন সে পলাতক। আমার সোনাদানা, এমনকি আমার মায়ের সোনা দানা পর্যন্ত আত্তস্বাদ করছে। আজকেই আত্নহত্যাও করবো"।

এর পর আবার ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আত্মহননের ঘোষণা দেন। 


সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহারিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তাকে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে।  মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অফিসে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে তাকে তাদের মাধ্যমে পরিবারে পাঠানো হবে। আর অভিযুক্ত ঐ যুবককে খুঁজছে পুলিশ। এখনো পাওয়া যায়নি। পেলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আর তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied