মমিনুল ইসলাম রিপন, রংপুর, (১২ মে ২০২২,): ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা কেউই ভালো নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাত সোয়া আটটার দিকে রংপুর নগরীর মুলাটোল পুকুরপাড় এলাকায় প্রয়াত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রংপুরে বিএনপিতে মোস্তাফিজুর রহমান বিপু একজন নিবেদিত প্রাণ ছিল। তার পরিবারের কাছ থেকে যা শুনেছি, তা খুবই কষ্টের। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের জীবনটা এমনই হয়। দিন আনে দিন খায়। কালকে কি খাবে, সেই সঙ্গতিও থাকে না। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের দলের সকলের প্রায় একই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমরা বিপুর পরিবারের পাশে থাকব। তার (বিপুর) একমাত্র মেয়ের পড়াশুনা ও পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের নিদারুণ নির্যাতন-যন্ত্রণা, মামলা-মোকাদ্দমার মধ্যেই বিএনপির নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে চলেছে। গণতন্ত্র পুনদ্ধারের জন্য লড়ছে। দলের কেউই এখন ভালো নেই। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনিও অন্তরীন হয়ে আছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে।
এরআগে রাত আটটায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহŸায়ক সামসুজ্জামান সামু ও জেলা বিএনপির আহŸায়ক সাইফুল ইসলামকে নিয়ে প্রয়াত মোস্তাফিজুর রহমান বিপুর মুলাটোল পুকুরপাড় সংলগ্ন বাসায় যান। তিনি সেখানে বিপুর মা, মেয়ে ও সহধর্মিণীর আফিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের খোঁজখবর নেন।
এই সময়ে রংপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, যুগ্ম আহŸায়ক রইচ আহমেদ, সদস্য সচিব মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বিপু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।