স্টাফ রিপোর্টার: দেশের সর্ববৃহৎ আলু উৎপাদনকারী এলাকা বলে খ্যাত রংপুর থেকে উন্নত জাতের আলু রফতানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া , ইন্দোনেশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে আলু রফতানি করা হয়।
জানাগেছে, সারাদেশে চাহিদার ২৫ ভাগ আলুর জোগান দেয় রংপুর বিভাগ। তাই রংপুর বিভাগ থেকে আলু রপ্তানির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সরকার। বিদেশিদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে রংপুরে উত্তম পদ্ধতিতে আলুর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। সরকার রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিয়ে রপ্তানিতে তাদের আগ্রহী করে তুলছে। এভাবে দেশের উদ্বৃত্ত প্রতিটি ফসল বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং কৃষকদের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে প্রাথমিকভাবে সাড়ে চার হাজার মেট্রিকটন আলু রফতানির অর্ডার পাওয়া গেছে। সাদা জাতের প্রতিটির ওজন একশ’ গ্রামের উপরে আলু মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের পছন্দ হওয়ায় এ আলু রফতানি শুরু হয়। রফতানি করতে পেরে আলু চাষিরাও খুশি। তারা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আকমল হোসেন বলেন, এবার রংপুর জেলায় রেকর্ড পরিমাণ ৫২ হাজার দুইশ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। যা দেশের মোট চাহিদার ২৫ ভাগেরও বেশি পূরণ করা সম্ভব। তবে আমাদের রংপুরে যে আলু চাষ হয় তার মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশে চাহিদা নেই। সে কারণে উন্নত জাতের বীজ এবং কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কারণে এবার রফতানিযোগ্য আলু উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। এ আলু রফতানির মাদ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ তিনি।
এদিকে শনিবার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নে আলু রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি কর্মসূচির উপদেষ্টা মাহমুদ হোসেন, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি সংগঠক ওবায়দুর রহমানসহ অন্যরা। উদ্বোধনী দিনে ৪ ট্রাক আলু রপ্তানির উদ্দেশে রংপুর ছেড়ে গেছে।