মমিনুল ইসলাম রিপন: সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন মানে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প থেকে বেঁছে নেয়া। নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প না থাকলে সেটি নির্বাচন হতে পারে না। একতরফা নির্বাচন কোন নির্বাচন নয়।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সাথে আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থ নিহিত রয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, আইনানুগ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই হল ক্ষমতা বদলের পথ। এটি যদি অশান্তির মাধ্যমে, বেআইনী, সহিংহসভাবে হলে তা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। গতবার রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে। আমরা ওই নির্বাচনের প্রশংসা করে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। আমাদের প্রত্যাশা এবারেও নির্বাচনটি যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি ইভিএম একটি জালিয়াতির যন্ত্র। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেই পুরনো গান গাইছে, এটি দিয়ে যে জালিয়াতি করা যায় সেটির কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। বেড়ায় ক্ষেত খায়-ইভিএম হলো এমন যন্ত্র। ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশন সুজনসহ সচেতন নাগরিকদের কথায় কর্ণপাত করছে না।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুজন সব সময় দূর্নীতি, অপশাসন, নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছে। তাই সরকারী দল এখন আমাদের নানা দোষারোপ করছে। অথচ এই দলই বিরোধী দল থাকাকালীন আমাদের কাজের প্রশংসা করেছিলো। বঙ্গবন্ধু আত্ম নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সেই স্বাধীনতার নীতি-আর্দশের মধ্যে আমরা আছি কি না সুজন সেই প্রশ্নগুলো তুলছে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই চাই রংপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হােক। নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করুক। আমাদের আশা প্রশাসন ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিরা নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা যেন গাইবান্ধার নির্বাচনের মত আচারণ না করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, সুজনের সংগঠক রাজেশ দেসহ অন্যরা।