লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বদলে ৩নং ওয়ার্ডে মতিয়ার রহমান নামের প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ৪নং ওয়ার্ড ইউনিয়নের যুব লীগের সভাপতি।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শেখ রাসেল ও ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইব্রাহীম খলিল লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক , জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন বুড়িমারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড থেকে ৩ নং ওয়ার্ডে অনুপ্রবেশ করে মজিবর রহমানের ছেলে মতিয়ার রহমান বুড়িমারী ইউনিয়নের সাধারণ আসনে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। পঞ্চম ধাপে পাটগ্রাম উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহকৃত ও প্রকাশিত সর্বশেষ ৪ নং ওয়ার্ডের ভোটারদের তালিকায় ৫২০৬৫৬০০১৮৬৭ ভোটার নং অনুযায়ী এবং ৮৮৫ নং তালিকায় মতিয়ার রহমানের নাম রয়েছে। মতিয়ার রহমানের বসতবাড়ি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, অনেক আত্মীয়-স্বজনসহ তিনি ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। হঠাৎ করে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৩ নং ওয়ার্ডে সাধারণ ইউপি সদস্য হিসেবে প্রার্থী হয় মতিয়ার রহমান। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মতিয়ার রহমান ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
বুড়িমারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উফারমারা গ্রামের বাসিন্দা বাবলু হক (৪০) বলেন, ‘৪ নং ওয়ার্ডের একই এলাকায় আমার বাড়ির পাশে মতিয়ার রহমানের বাড়ি। ৩ নং ওয়ার্ডে কিভাবে ভোটার বা প্রার্থী হলেন এটা জানি না।’
বুড়িমারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মতিউর রহমান রতন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি মতিয়ার রহমান ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এখন তিনি হঠাত করে ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার হয়ে প্রার্থী হয়। অনেকে এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না।
ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শেখ রাসেল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে নেওয়া সর্বশেষ ভোটার তালিকায় মতিয়ার রহমান ৪ নং ওয়ার্ডের ভোটার। তাঁর বাড়ি-ঘরও সেখানে। উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন মতিয়ার রহমান বিশেষ ক্ষমতায় ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার হয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পর এটা কিভাবে সম্ভব হল।’
মতিয়ার রহমান তাঁর বসতবাড়ি ৪ নং ওয়ার্ডে স্বীকার করে বলেন, ‘আমি আগে থেকে ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার। আমার ভোট কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে ৩ নং থেকে কেটে ৪ নং ওয়ার্ডে করে রাখে। আমি এটি সংশোধন করেছি। প্রার্থী হতে কোনো সমস্যা নাই।’
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু সাঈম বলেন,‘ সর্বশেষ ভোটার তালিকায় ওই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে মতিয়ার রহমানের নাম দেখেছি। কিন্তু পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো সম্পুরক তালিকায় ৩ নং ওয়ার্ডে তাঁর নাম পেয়েছি। এ কারণে মতিয়ার রহমানের মনোনয়ন বৈধ।’