মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অটো রিকশা চালককে হত্যা করার অভিযোগে দুই আসামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষনার আগে থেকেই আসামী দুজনই পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষনা করেছেন আদালত।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার নেকিরহাট গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আবুল কাশেম অটো রিকাশা চালক হিসেবে অটো রিকশা চালাতে ২০১৬ সালের ২৪ আগষ্ট ৪ জন ব্যাক্তি অটো রিকশা ভাড়া নিয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া নামক স্থানের কথা বলে ভাড়া নেয়। এরপর ওই এলাকার জনৈক ডা, নুর আলমের বাড়ির পার্শ্বে অটো রিকশা চালক আবুল কালাম আজাদকে অস্ত্রের মুখে ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে অটো রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার নিহত অটো চালক আবুল কালাম আজাদের মা মোখলেসেনা বেগম বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ রংপুরের সদর উপজেলার গোকলপুর ধনিপাড়া গ্রওামের মফিুল ইসলামের দুই ছেলে সফিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামী অটো চালককে হত্যা করে অটো ছিনতাই করার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। পরে তারা দুজনেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে পুলিশ দুই আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে দুই ভাই সফিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করে রায় প্রদান করেন।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজিবী নয়নুর রহমান টফি জানান সাক্ষ্য প্রমানে বাদী পক্ষ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে। দুই আসামী গ্রেফতার হবার পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার উপর সাক্ষ্য প্রমানে খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় দুই আসামীর ফাঁসির আদেশ প্রদান করায় আমরা এ রায়ে সন্টষ্ট। দুই আসামী গ্রেফতার হবার পর দুই আসামী জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষনা করেছে আদালত। গ্রেফতার হবার দিন থেকে রায় কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইন জিবী আলাউদ্দিন আলমগীর জানান এ রায়ে তার সন্টষ্ট নয় সে কারনে উচ্চ আদালতে আপীর করবেন বলে জানান।