আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ● ১০ আশ্বিন ১৪৩০
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে- রাঙ্গা       পরীক্ষার কথা আগেই জানতেন সেই জোবেদা, পেয়েছিলেন ক্ষুদে বার্তাও       পাকিস্তানকে উড়িয়ে প্রথম পদক জয় বাংলাদেশের       নিয়োগ পরীক্ষায় ডাক না পাওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি       নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ এনে বেরোবি শিক্ষক তাবিউরের বরখাস্ত দাবি      

লালমনিরহাটে নিখোঁজের দুইদিন পর তিস্তার চরে মিলল যুবকের মরদেহ

বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বিকাল ০৬:৩৬

লালমনিরহাট প্রতিনিধি।। লালমনিরহাটে নিখোঁজের দুইদিন পর তিস্তা নদীর চর থেকে হামিম (২০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিস্তা রেল ব্রীজের পাশের একটি চর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হামিম গোকুন্ডা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার নবিজ কাসাইয়ের পুত্র বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, তিস্তা রেল ব্রীজে কয়েকজন লোক ঘুরতে গেলে ব্রীজ থেকে একটু দুরে চরে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে তারা ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে কয়েকজন দোকানদারদের বিষয়টি বললে তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও চেয়ারম্যান ঘটনা স্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত লোকজন লাশটি গোকুন্ডা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার নবিজ কাসাইয়ের পুত্র বলে শনাক্ত করে।

স্থানীয়দের দাবী গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ১০/১২ জন জুয়াড়ু তিস্তা নদীতে নৌকার উপর জুয়া খেলছিল। বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে এসআই আশরাফুলের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও পুলিুশ সেখান থেকে দুই জুয়াড়ুকে আটক করে। এ সময় হামিম পুলিশের ভয়ে নদীতে ঝাপ দিলে ওই রাত থেকে সে নিখোঁজ ছিল। আজ বুধবার দুপুরে তিস্তার চরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা আরো জানায়, হোক সে জুয়াড়ু তারপরেও সে একজন মানুষ। তাই ওই সময় পুলিশের উচিত ছিল তার খোঁজ নেয়া। কিন্তু পুলিশ তা না করে দুই জুয়াড়ুকে থানায় নিয়ে যায়। তাদের চোখে এটি একটি হত্যাকান্ড বলেও তারা অভিযোগ করেন।

নিখোঁজ হামীমের বড় ভাই সামীম অভিযোগ করে বলেন, তিস্তা নদীতে জুয়া খেলা অবস্থায় পুলিশের ধাওয়ায় তার ছোটভাই নদীতে ঝাঁপ দেয়। এসময় পুলিশ দুজনকে ধরে নিয়ে আসলেও আমার ভাইয়ের কোন খোঁজ না নিয়ে তারা চলে আসে।পুলিশের ধাওয়ার কারনেই তার ছোটভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে বলেন আমার ছোটভাই হামীমকে আমরা ফেরত চাই।

লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক পুলিশের ধাওয়ায় মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিস্তার চরে একটি মরদেহ পড়ে আছে বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে আমার পুলিশ টিম গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। বিকেলে মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন শেষ নিহতের পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied