গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে এগারো হাজার বই পাচারের ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডলসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে গতকাল রোববার দুপুরে ঝাড়ু নিয়ে পৌর শহরে মিছিল করেছে স্থানীয়রা। সুন্দরগঞ্জ সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই মিছিল বের করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বর থেকে ঝাড়– মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরাতন উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান নিয়ে মিছিলকারীরা বই পাচারের ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডলকে দায়ী করে তার ছবি সম্বলিত পোস্টার ঝাড়– দিয়ে পিটিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারিরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সুন্দরগঞ্জ সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি মাসুদুর রহমান প্রামাণিক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি সাজেদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ, জাসদ নেতা মুসলিম আলী, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বীরেন সরকার মিন্টু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বই চুরির সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন অবশ্যই জড়িত। তিনি এ দায় এড়াতে পারেন না। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাদী হয়ে তার অফিস সহায়ক মাজেদুর রহমান, পিকআপ চালক শ্যামল মিয়া ও হেলপার রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এর আগেও ২০১৭ সালে বই চুরির ঘটনায় মামলা হলেও মাহমুদ হোসেনের হস্তক্ষেপে জড়িতরা পার পেয়ে যায়। বক্তারা বই চুরির ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেনকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে তাকে গ্রেফতার ও চাকরি থেকে অপসারণের দাবী জানান। অন্যথায় আগামীতে বড় কর্মসূচি দেয়া হবে বলে তারা হুঁশিয়ারী দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থেকে পাচার করা পিকআপ বোঝাই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিনামূল্যের বই ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করে। পরে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে আটক করে নিয়ে আসে। এঘটনায় পরদিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার দেয়া হয় ডিবি পুশিকে।