স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ উত্তরাঞ্চলের শিক্ষানগরী খ্যাত নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে একটি সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে শহরের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’এর সভাকক্ষে ওই সভার আয়োজন করে সৈয়দপুরের বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহ।
সভায় সম্প্রতি সৈয়দপুরে সরকারি লাইব্রেরি স্থাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসন যায়গা দিতে না পারায় সরকারি বরাদ্দকৃত ৫৩ লাখ টাকা ফেরত যাওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন বিভিন্ন গ্রন্থাগার ও সুধীজনরা।
আলোচনা সভায় সৈয়দপুর গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. শাবাহাত আলী সাব্বুর সভাপতিত্বে ও সেতুবন্ধন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রভাষক শিউলী বেগম, মহিলা পাঠাগারের ফরিদা ইয়াসমিন, সংশপ্তক গ্রন্থাগারের শামীমা আক্তার, পুবালী স্কাউট পাঠাগারের কুতুবউদ্দিন, সৈয়দপুর গ্রন্থাগারের এস এম মিথুন কার্নায়েন, শিক্ষিকা শিউলী সুলতানা, সমাজসেবক তোফায়েল আজম, সেতুবন্ধন পাঠাগারের আহাদুজ্জামান, লেখক শাহজাহান আলী সরকার, সতীর্থ সাংস্কৃতিক সংগঠনের শরিফুল ইসলাম, সাংবাদিক মমিনুর আজাদ, নওশাদ আনসারী, শিক্ষার্থী সোহাগ রানা, মামুনুর রশিদ, বেলায়েত হোসেন বিপু, ব্যবসায়ী আহমদে উল্লাহ প্রমুখ সহ অনেকে।
বক্তারা সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধের পাশেই অথবা উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় সংলগ্ন ফাকা স্থানে অবিলম্বে সৈয়দপুর সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করা হয়। এজন্য তারা জেলা প্রশাসকে সহযোগীতা কামনা করেছেন।
বক্তারা বলেন, কিছুদিন আগে সৈয়দপুরে একটি সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের জন্য সরকারিভাবে ৫৩ লাখ অর্থ বরাদ্দ আসে। কিন্তু উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না এমন অজুহাতে উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও) সেই বরাদ্দ ফেরত পাঠিয়েছেন। আমাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা বা পরামর্শ না করেই 'জায়গা নেই' বলে বরাদ্দ ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত এই শহরে একটি সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি না থাকা এবং বরাদ্দ এসেও ফিরে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। সভায় উপস্থিত বক্তারা অবিলম্বে শহরে একটি অত্যাধুনিক সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের জোর দাবি জানান।
আলোচনা শেষে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অধ্যক্ষ শাবাহাত আলী সাব্বুকে আহবায়ক ও আলমগীর হোসেনকে সদস্য সচিব করে একটি 'সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি বাস্তবায়ন কমিটি' গঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, সরাসরি সাক্ষাৎ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে লাইব্রেরি স্থাপন বাস্তবায়ন করা।