লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা হিমাংশু বর্মণ (৩৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (৭জানুয়ারি) বিকেলে স্ত্রী ছবিতা রানী হিমাংশু বর্মণকে হাতীবান্ধা থানা হাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি মারা যান। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য প্রকাশ করছে না। বর্তমানে হিমাংশু বর্মণে মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়া জানান, দুপুরে ওই উপজেলার ভেলাগুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদাপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে হিমাংশু রহমানের স্ত্রী ছবিতা রানীকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই নারী একই এলাকার হিমাংশু বর্মণের স্ত্রী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ তার স্বামী হিমাংশুকে আটক করে পুলিশ। করে থানায় নিয়ে এসে হাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের ভাষ্যমতে, কিছুক্ষণ পরেই গিয়ে দেখতে পারেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে হিমাংশু বর্মণের পরিবার দাবি করছেন, পুলিশ প্রচণ্ড মারধোর কারণে হাজতখানায় হিমাংশু বর্মণ মারা গেছেন। এই হত্যার বিচার দাবি করছেন নিহত পরিবারের সদস্যরা।
দুপুরে এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তাই তার স্বামী হিমাংশু বর্মণ আটক করা হয়েছিল।
তবে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর থেকেই ওসি এরশাদুল আলম ফোন ধরছেন না। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে ফোন কেটে দিচ্ছেন।