নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুর মহানগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল ৮টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও রংপুর মহানগর বিভাগের ৩০ হাজারেরও বেশি মসজিদে সকাল ৭টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, রংপুর মহানগরীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে।
আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে জেলা মডেল মসজিদে দুই দফায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান ঈদগাহ মাঠে বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি প্রশাসক, ডিআইজি মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিসি এসপি সহ রাজনৈতিক নেতারা ছাড়াও ৩০ হাজার মুসল্লি অংশ নিবেন।
এছাড়াও ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে রংপুর মহানগরীরসহ বিভাগের প্রায় ৩০ হাজার ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লীরা।
অন্যদিকে দিনাজপুরের গোর-ই শহীদ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। এটিকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহত ঈদের মাঠ বলা হচ্ছে। এছাড়াও রংপুরের গঙ্গাচড়ার ৫৭ জামাত তালুকহাবু ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও অর্ধলাখ মুসল্লী নামাজ আদায় করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক মোস্তফা মনসুর আলম খান জানান, ঈদগাহগুলো এরই মধ্যে প্রস্তত হয়েছে। মাঠ ছাড়াও অনেক মসজিদের ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ফাউন্ডেশনের মাঠ কর্মীরা প্রতিটি ঈদগাহে অবস্থান করবেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির জানান, ঈদগা মাঠ প্রস্তুতে কাজ করছি রংপুর সিটি করপোরেশন। সামিয়ানা টাঙ্গানোসহ মাঠ পরিষ্কার করা হচ্ছে।
এদিকে ঈদ জামাত এবং কোরবানির আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনাবাহিনীর বিশেষ নজরদাবি বাড়ানো হয়েছে।
র্যাব-১৩ রংপুরের অধিনায়ক কর্নেল মো: জয়নুল আবেদীন জানান, পুরো বিভাগে র্যাবের সদস্যরা ঈদের জামাতগুলোকে ঘিরে টহল শুরু করেছে। ঈদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত টহল অব্যাহত থাকবে।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো: মজিদ আলী জানান, নগরীর প্রধান ঈদগাহসহ সকল ঈদগাহে মুসল্লীদের নির্বিঘ্ন আসা যাওয়া নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত নজরদারি শুরু হয়েছে। ঈদ উদযাপন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো: আমিনুল ইসলাম জানান, পুরো বিভাগকে চারস্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে ঈদ উদযাপনকে ঘিরে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙখলাবাহিনীর নজরদারি রাখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বাড়তি সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোথাও কোনো অপরাধী অপতৎপরতা শুরু করান চেষ্টা করলেই তাদের প্রতিহত করা হবে।
সেনাবাহিনীর ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম জানান, রংপুর বিভাগবাসীর ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করতে তাদের নিরাপত্তায় আছে সেনাবাহিনী। কেউ কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করব আমরা।