সেন্ট্রাল ডেস্ক: হঠাৎ করেই তীব্র শীত দেখা দিয়েছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বরাবরই শীতের প্রকোপ একটু বেশি হয়ে থাকে। তবে গত কয়েকদিন ধরে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৩-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ভেদ করে ছড়াচ্ছে সূর্যের আলো। শীতের পরশ ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলের এ জেলার জনপদে। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাপমাত্রা কমে শীতের মাত্রাটা কিছুটা বেড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ধীরে ধীরে বাড়ছে উত্তরে জেলা পঞ্চগড়ের শীতের মাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হচ্ছে। মাঝরাতের পর ভোর পর্যন্ত গায়ে কাঁথা নিতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে অক্টোবর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকে কেন্দ্র করে বাজারগুলোতে ভাপা, চিতুয়া, পৌকন পিঠা উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় এখনও সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।