আর্কাইভ  সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫ ● ১০ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ২৫ আগস্ট ২০২৫
সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

সমস্যা বাড়ছে পাটপণ্য রপ্তানিতে

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি

বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

► এক চুক্তি, চার সমঝোতা স্মারক ও এক কর্মসূচি সই
একাত্তর ইস্যু দুবার মীমাংসিত, বললেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বহুমুখী নিবিড় সম্পর্কে ঐকমত্য

রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

উল্টো বাড়ছে দিনদিন, চলছে শুধুই আলোচনায়
রোহিঙ্গা ঢলের ৮ বছর আজ, ফেরানো গেল না একজনও

নীলফামারীতে ১ মাসে ১৯ রোগী ভর্তি হাসপাতালে

রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩, রাত ০৯:৪৩

Advertisement Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ নীলফামারীর প্রত্যন্ত গ্রামে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। গত এক মাসে জেলায় ১৯ রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। এসব রোগীর মধ্যে ১৮ জনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ডেঙ্গু প্রকোপের এলাকা ভ্রমন করেছেন। এক জনের কোন ভ্রমন কাহিনী পাওয়া যায়নি। 
নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ হাসাপাতালে গত ১১ জুন দুইজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসে। এরপর ২৪ জুন একজন, ২৮ জুন একজন, ৩০ জুন একজন, ২ জুলাই দুই জন, ৫ জুলাই দুই জন, ১১ জুলাই একজন, ১৪ জুলাই একজন, ১৫ জুলাই একজন এবং ১৬ জুলাই দুই জন। এছাড়া ১৩ জুলাই জলঢাকা হাসপাতালে দুইজন, ডোমার হাসপাতালে একজন, ১৫ জুলাই সৈয়দপুর হাসপাতালে একজন ও কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে একজন ভর্তি হয়। গত এক মাসে ১৯ জন রোগি ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসায় সুস্থ্য বাড়িতে ফিরেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৬জন। এসব রোগির মধ্যে ১৮ জনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ডেঙ্গু প্রকোপের এলাকা ভ্রমন করেছেন। এক জনের কোন ভ্রমন কাহিনী পাওয়া যায়নি। 
ডেঙ্গু ইউনিটে ভর্তি কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১০ বছরের মধ্যে ঢাকায় যাইনি। অনেকেই ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করেন। এলাকায় ফিরে আসলে তাদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন গল্প করি। ঢাকা ফেরৎ এমন একজনের সঙ্গে গত এক সপ্তাহ আগে এলায় বসে কিছুক্ষণ কথা বলেছি। এর দুইদিন পর তার ডেঙ্গু আক্রান্তের কথা শুনতে পাই। এরপর গত শুক্রবার আমার জ্বর উপলদ্ধি হলে জলঢাকা হাসপাতালে পরীক্ষা করে শনিবার ডেঙ্গু আক্রান্তের কথা জানতে পারি। ফলে রবিবার নীলফামারী হাসপাতালে ভর্তি হই’। 
এবিষয়ে কথা বললে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মো. আবু-আল হাজ্জাজ বলেন, ১৯ রোগীর মধ্যে ১৮ জনেরই ভ্রমন হিস্ট্রি আছে। কিন্তু কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের কোন ভ্রমন হিস্ট্রি পাওয়া যায়নি। ভ্রমন হিস্ট্রি না থাকলেও ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, বহনকারী এডিস মশা এবং জীবানু দুটোরই সমন্বয় থাকতে হবে। এডিস মশা সাধারণত রোগির শরীর থেকে এ রোগটি বহন করে সুস্থ্য মানুষের শরীরে ছড়ায়। আব্দুর রাজ্জাকের কোন ট্রাভেল হিস্ট্রি না থাকায় ধারণা করা হচ্ছে এ এলাকায়ও এডিস মশার প্রকোপ ছড়িয়েছে। 
এবিষয়ে নীলফামারী পৌরসভার মেয়ের দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, পরিচ্ছন্নতা অভিযান আমাদের আছে। এ কার্যক্রম আমরা আরও বৃদ্ধি করবো। পাশাপশি পৌরসভার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশা জন্ম নেয় এমন জায়গাগুলো পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নিবে। 

মন্তব্য করুন


Link copied