আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ২৭ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আবাসিক হোটেল বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

রংপুরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আবাসিক হোটেল বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

স্ত্রীর মুড সুইং: কারণ ও করণীয়

স্ত্রীর মুড সুইং: কারণ ও করণীয়

মাফিয়া মিঠুর দুর্নীতির আরেক সহযোগী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবজাল

১৫ হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া
মাফিয়া মিঠুর দুর্নীতির আরেক সহযোগী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবজাল

রংপুরের গঙ্গাচড়ার স্বাস্থ্য খাতে এক মাফিয়া ডন মিঠুর উত্থান যেভাবে

রংপুরের গঙ্গাচড়ার স্বাস্থ্য খাতে এক মাফিয়া ডন মিঠুর উত্থান যেভাবে

রংপুরের গঙ্গাচড়ার স্বাস্থ্য খাতে এক মাফিয়া ডন মিঠুর উত্থান যেভাবে

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ০১:৫৪

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  মিঠুর গ্রামের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর ইউনিয়নে। তিনি বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকলেও তার ইঙ্গিতেই চলে স্বাস্থ্য খাত।

মিঠুর উত্থান যেভাবে : মিঠু সিন্ডিকেট গঠিত হয় ১৯৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে মিঠু সিন্ডিকেট আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। অনেক মন্ত্রী-সচিব মিঠুর ‘বিজনেস পার্টনার’ হিসেবে পরিচিত। কোনো কোনো হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করেই বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আবার কোনো কোনো হাসপাতালে নির্ধারিত যন্ত্রপাতির বদলে পুরনো এবং নিম্নমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তিন জন পরিচালক মিঠু সিন্ডিকেটের সদস্য। এরা তাকে সহযোগিতা করেন। তাদের একজন অবসরে চলে গেছেন। মিঠু সিন্ডিকেটের স্থায়ী সদস্য হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত আছেন একজন সহকারী সচিব। তিনি ইতিপূর্বে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ছিলেন। সহকারী সচিব পদে পদোন্নতির পরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একই শাখায় পদ দখল করে রেখেছেন তিনি। তাকে অন্য কোথাও বদলি করা যায় না। মন্ত্রণালয়ে মিঠুর হয়ে সব দেখভাল করেন এই সহকারী সচিব। এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাতের নিচের পর্যায়ের বিভিন্ন পদে মিঠু সিন্ডিকেটের কিছু স্থায়ী সদস্যও আছে।

নিচের পর্যায়ের পদ হলেও এরা প্রত্যেকেই মিঠুর বদৌলতে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী বলে পরিচিত। স্বাস্থ্য অধিদফতরে মিঠু সিন্ডিকেটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবজাল দম্পত্তি ১৫ হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ারও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। মাফিয়া মিঠুর দুর্নীতির সহযোগী আবজালের সূত্র ধরেই স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন ইউনিটের ৪৭ জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যাপারেও তদন্ত চালায় দুদক। এদের মধ্যে প্রথম দফায় পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি) ডা. আবদুর রশীদ, পরিচালক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী পরিচালক (বাজেট) ডা. আনিসুর রহমান ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আফজাল হোসেনকে দুদকে তলব করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ডাকা হয় আরও পাঁচজনকে।

তারা হলেন, ফরিদপুর টিবি হাসপাতালের ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট বেলায়েত হোসেন, জাতীয় অ্যাজমা সেন্টারের হিসাবরক্ষক লিয়াকত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক রাকিবুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উচ্চমান সহকারী বুলবুল ইসলাম ও খুলনা মেডিকেল কলেজের অফিস সহকারী শরিফুল ইসলাম। তারা সবাই শীর্ষ মাফিয়া মিঠুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেই পরিচিত। খুলনা শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের একজন উচ্চমান সহকারীও মিঠু সিন্ডিকেটের কল্যাণে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকেরই দেশ-বিদেশে একাধিক বাড়ি রয়েছে। একই সঙ্গে তারা নামে-বেনামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে স্বাস্থ্য খাতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন


Link copied