ডেস্ক: রংপুরে সরকারি ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতালে আপাতত বর্হিবিভাগের কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী। গত সোমবার ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শিশু হাসপাতালের কার্যক্রমের চালুর বিষয়ে অনুমতি প্রদান বিষয়ক চিঠি পাওয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে শিশু হাসপাতালের জন্য নির্মিত ভবনে বিভাগীয় করোনা ডেডিকেড হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হলেও বর্তমানে করোনার প্রার্দুভাব কমে যাওয়ায় ভবনটির অধিকাংশ রুম অব্যবহৃত রয়েছে। তবে শুধু বহির্বিভাগ নয় হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছেন রংপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি সাব্বির আরিফ মোস্তফা পিয়াল। তিনি বলেন, হাসপাতালটি চালু হলে এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বরাবর প্রেরিত চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে নবনির্মিত ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতাল, রংপুরের সেবা কার্যক্রম চালুর নিমিত্তে শিশু হাসপাতালটিকে অস্থায়ীভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্ধিত শিশু ওয়ার্ড অথবা শিশু বহির্বিভাগ হিসেবে চালুকরণের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় শিশু বিশেষজ্ঞদের দাবি, রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে একটি মাত্র শিশু বিভাগ দিয়ে এ অঞ্চলের চিকিৎসা প্রত্যাশীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হলে শিশুদের জটিল সার্জারি ও সাধারণ সকল রোগের চিকিৎসা স্বল্পমূল্যে প্রদান করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা পার্শ্ববর্তী দেশে যাওয়ার প্রবণতাও অনেক কমে আসবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, সবেমাত্র চিঠি পেয়েছি। এখন কার্যক্রম চালুর জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি।