হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের উপজেলা ভুমি অফিসগুলোতে কর্মরত ৬ জন কর্মচারীর বদলি সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিশনার অফিসের আদেশ আড়াই মাসেও কার্যকর করা হয়নি। দীর্ঘ দিন একই স্টেশনে কর্মরত থাকায় সেবার মানে স্বজনপ্রীতি সহ নানান জঠিলতা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলা ভুমি অফিসে কর্মরত ৬ জন কর্মচারীকে নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলায় বদলির আদেশ দেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অফিস। গত ১৩ মে এ সংক্রান্ত একটি পত্র জারি করেন সহকারী কমিশনার সাদরুল আলম। যার স্মারক নং- ০৫.৪৭.০০০০.০০৮.০৫.০১৪.২৩.৪০৮। এ আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে।
বদলির আদেশ প্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলা ভুমি অফিসের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক সুভাস চন্দ্র বর্মন, আদিতমারী উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার উত্তম কুমার রায়, কালীগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক বিমল চন্দ্র বর্মন, একই অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার সাগর আলী, হাতীবান্ধা উপজেলা ভুমি অফিসের প্রধান সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরীক মিজানুর রহমান ও পাটগ্রাম উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার আল মামুন। তাদেরকে নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
৬জন কর্মচারীর জেলা বদলির এ চিঠি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌছলে সেখান থেকে গত ১৫ মে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভুমি) কার্যালয়ে তার অনুলিপি পাঠানো হয়। কর্মচারিদের বদলির আদেশের চিঠি চালাচালির প্রায় আড়াই মাস পেড়িয়ে গেলেও বদলির কোন পদক্ষেপ নেই। কমিশনার কার্যালয়ের এ নির্দেশনা যেন ভুলেই গেছে বদলির আদেশ প্রাপ্ত কর্মচারি থেকে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ভুমি অফিসের একজন কর্মচারী বলেন, দীর্ঘ দিন একই স্টেশনে চাকুরির সুবাধে অনিয়মের রাজত্ব কায়েম করেছেন তারা। এরা প্রায় সবাই আওয়ামী দোসরের আর্শিবাদ পুষ্ট কর্মচারি। যার কারনে তাদেরকে জেলার বাহিরে বদলির আদেশ এসেছে। জেলার বাহিরে চাকুরি করলে ফাঁকিবাজি করতে পারবে না। তাই বদলির আদেশটি ক্ষমতার জোরে লাল ফিতায় আটকিয়ে রেখেছে।
লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) জিআর সারওয়ার বলেন, কমিশনার অফিস থেকে প্রাপ্ত আদেশটি সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং ভুমি অফিসে পাঠানো হয়েছে। তারা কেন এখন পর্যন্ত তা কার্যকর করে নি তা খতিয়ে দেখে দ্রুত কার্যকর করা হবে।