আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, রাত ০৯:০০

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একই মামলায় সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার (২৩ এপ্রিল) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। একইসাথে উভয়পক্ষের উপস্থিতির জন্য ২২ এপ্রিল ধার্য করেন।

আসামিরা হলেন, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ও মামলার বাদী নিশি ইসলামের স্বামী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলী, মেহের আফরোজ শাওন, তার বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন ও সেঁজুতি, শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির, এডিসি নাজমুল, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম ও মোঃ আলীর ভাগ্নে মোখলেছুর রহমান মিল্টন।

এর মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপ-পরিদর্শক শাহ আলম গতকাল আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে বাকি দশ আসামি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শরিয়ত মোতাবেক ৫০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ও ৫০ হাজার টাকা উসুল করে আসামি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী তার পূর্বের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে বাদী নিশিকে বিয়ে করেন। তিনি পরবর্তীতে জানতে পারেন মো. আলী পূর্বেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং তার পূর্বের একটি পুত্র ও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে সে তার প্রথম বিয়ে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন রকমের ছলনা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন এবং তার সকল প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য হুমকি দেয়। এরপর ৪ মার্চ আসামি মোঃ আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার পূর্বের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। এসময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোতে শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করে। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহজালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এসময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে এবং মাদক ব্যবসায়ী সাজায়। 

মন্তব্য করুন


Link copied