আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

সৈয়দপুরে নিখোঁজের চারদিন গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার; স্বামী-শ্বাশুড়ি আটক

শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১, দুপুর ০৩:৩৪

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী: নিখোঁজের চারদিন পর লাভলী বেগম(২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ল²ণপুর পশ্চিম পাড়া (খরখরিয়াপাড়া) গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে ওই লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে।

নিহত লাভলী বেগম দুই সন্তানের জননী ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার দলবাড়ী গ্রামের বাবলু মন্ডলের মেয়ে। তার বিয়ে হয় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ল²ণপুর পশ্চিম পাড়া (খরখরিয়াপাড়া) গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিমের সাথে। 

অভিযোগ মতে, লাভলীর স্বামী তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। যা লাভলী দেখতে পেলে স্বামীর সাথে তার বচসার সৃস্টি হয়। এরপর গত চারদির আগে লাভলী নিখোঁজ হয় বলে স্বামীর পরিবার প্রচারনা চালায়। নিহত লাভলীর ছোট ছেলের অভিযোগ তার মাকে বাবা, দাদা ও দাদীরা পিটিয়ে মারে। এরপর মায়ের লাশ ঘরের ছাদে রেখে দেয়। লাশের দুর্গন্ধ বের হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসে। 

এলাকাবাসী জানান, ৪ দিন থেকে লাভলী বেগম কে পাওয়া যাচ্ছিলনা। গতকাল বৃহ¯পতিবার রাতে ওঝা এনে গণনা করা হয়। তাতেও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। আজ সকালে বাঁশঝাড়ে খড়ি কুড়াতে গেলে এক গৃহবধূ লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত হয়। পরে পুলিশ কে খবর দেয়া হয়। ওই মহিলা জানান, আমি প্রায় প্রতিদিন ওই বাঁশঝাড়ে খুড়ি কুড়াতে যাই। গতকালও খড়ি কুড়িয়ে আনি। আজ সকালে খড়ি কুড়াতে গিয়ে লাভলীর লাশ দেখতে পাই। 

সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাঁশঝাড়ের মধ্যে থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদেেন্তর জন্য জেলার মর্গে প্রেরন করেছি। এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। জড়িত সন্দেহে স্বামী ও শ্বাশুড়ি আটক করা হয়েছে। পরিবারের অন্যরা পলাতক রয়েছে। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied